নতুন ৩ কৃষি আইনই স্থগিত করে দিল সুপ্রিম কোর্ট, সমাধান খুঁজতে গঠিত হবে কমিটি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কৃষি আইন (Farm Law) নিয়ে বড়সড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আপাতত ওই আইন প্রয়োগ করা যাবে না। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

তৈরি করা হয়েছে চার সদস্যের কমিটি। কৃষি আইন নিয়ে ওই কমিটি সুপ্রিম কোর্টকে রিপোর্ট দেবে। কমিটিতে রয়েছেন বিকেইউ-এর ভূপেন্দর সিং মান, শেঠকারী সনথানের অনিল জ্ঞানবন্ত, কৃষি বিজ্ঞানী অশোক গুলাটি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চের প্রমোদ কে যোশি।

আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত মোট ৮ দফা বৈঠক হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু তাতে কোনও সমাধানই বেরিয়ে আসেনি। কৃষকদের মতামত নিয়ে কেন্দ্র আইনে সংশোধন ঘটাতে রাজি হলেও, আন্দোলনকারীরা তাতে রাজি হননি। বরং সম্পূর্ণ আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় তাঁরা। তাই কমিটি গঠন করে বিষয়টি পর্যালোচনা করাই শ্রেয় বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: Republic Day: বরিসের জায়গায় প্রধান অতিথি ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই প্রেসিডেন্ট

যদিও সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে রাজি হয়নি কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, কোনওরকম সংশোধন নয়, কোনও কমিটির সঙ্গে কথা নয়, সম্পূর্ণ ভাবে আইন প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে।  তাঁদের আইনজীবী আদালতে তা জানালে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, এএস বোপান্না এবং ভি রামসুব্রহ্মণ্যমের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘এটা রাজনীতি নয়। রাজনীতি এবং বিচার ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কাম্য।’’

কমিটি গড়া ছাড়া আইন ৩টি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করে আদালত। বলা হয়, ‘‘আইন ৩টির বৈধতা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন আমরা। একই সঙ্গে একটানা আন্দোলনের জেরে মানুষের জীবনযাত্রা এবং সম্পত্তির উপর যে প্রভাব পড়েছে, তা-ও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। যতটা সম্ভব সুষ্ঠ ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি আমরা। ক্ষমতা প্রয়োগ করে আইন স্থগিত রাখতে পারি আমরা। কিন্তু অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত আইন স্থগিত রাখা যায় না। কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত একটি বিচারবিভাগীয় প্রক্রিয়া, এর ফলে বিষয়টি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে। আপনারা যদি অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে চান, যান। আমরা নিজেদের জন্য এই কমিটি গঠন করছি। যাঁরা সত্যি সত্যি সমাধান চান, তাঁরা এই কমিটির কাছে যাবেন। ওই কমিটি কোনও সিদ্ধান্তও নেবে না, কোনও শাস্তিও দেবে না। গোটা বিষয়টি নিয়ে ওই কমিটি শুধু আমাদের রিপোর্ট দেবে।’’

আরও পড়ুন: ভোররাতে পুণে থেকে টিকা পাঠানো শুরু সেরামের, দুপুরেই শহরে ঢুকছে করোনার ভ্যাকসিন

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest