ট্রাক্টরের গর্জনে কাঁপছে দিল্লি! আজ তো স্রেফ ট্রেলর, হুঁশিয়ারি কৃষকদের; কেন্দ্রের মুখে কুলুপ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কড়া নিরাপত্তার মাঝেই দিল্লির চার সীমান্তে শুরু হল ট্রাক্টর মিছিল (Tractor March)। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ ৩৫০০-রও বেশি ট্রাক্টর ও ট্রলি নিয়ে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।

কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের বিগত ৪৩ দিন ধরে দিল্লির সিংঘু সীমান্তে আন্দোলন করছেন দেশের কৃষকরা। সপ্তম দফা বৈঠকের আগেই কৃষকরা জানিয়েছিলেন, এই বৈঠক ব্যর্থ হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাটবেন। সূচনা হবে ট্রাক্টর মিছিলের মাধ্যমে। প্রতিশ্রুতি মতোই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে আজ সকালে গাজিয়াবাদ থেকে পালওয়াল, হরিয়ানা অবধি মিছিল শুরু করা হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান রাকেশ তিকাইত।

আন্দোলনকারী কৃষকরা জানিয়েছেন, আজ কেবল মহড়া দেওয়া হল। আগামী ২৬ জানুয়ারি হরিয়ানা, পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন অংশ থেকে কৃষকরা ট্রাক্টর মিছিল করে রাজধানীতে প্রবেশ করবে।

আরও পড়ুন: সৌরভ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ট্রোল, ফরচুন তেলের সব বিজ্ঞাপন তুলে নিল আদানি উইলমার

মিছিলে শান্তি বজায় রাখতে আগে থেকেই মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল সংখ্যক পুলিস। এই বিষয়ে দিল্লি পুলিসের জয়েন্ট কমিশনার শালিনী সিং বলেন, “যাবতীয় পুলিসি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজকের ট্রাক্টর মিছিল দিল্লির ভিতরে প্রবেশ করবে না বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। তবে সীমান্তে যানজটের আশঙ্কা থাকায় সিরসা ও বিল আকবরপুর থেকে সোনিপতের দিকে আসা গাড়িগুলি দুপুর দু’টো থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশ করতে পারবে না।”

অন্যদিকে গতকালই কেন্দ্রীমন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরি (Kailash Choudhury) কৃষকদের শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার আবেদন জানান। তিনি বলেন, “আমি কৃষকদের কাছে আবেদন করছি তাঁরা যেন শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করেন। তাঁদের অধিকার রয়েছে প্রতিবাদ করার কিন্তু কমিউনিস্টদের মতো কিছু মানুষ কৃষকদের উসকাচ্ছে। কৃষকদের এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। আশা করছি আগামীকালের বৈঠক থেকে কোনও ভাল খবরই পাওয়া যাবে।”

এদিকে, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মামলায় বুধবার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের পর্যবেক্ষণ, এতদিনও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। যদিও কেন্দ্রের দাবি, কৃষকদের সঙ্গে তাদের আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। কিন্তু শীর্ষ আদালত মনে করছে, দ্রুত সমাধান বের করতে হবে। সরকারের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে দুই পক্ষই ঐক্যমত্যে পৌঁছবে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানিয়েছেন, ৮ জানুয়ারি ফের বৈঠক রয়েছে দুই পক্ষের। তার আগে আদালত কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হলে আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন: অর্ণবের রিপাবলিকের টিআরপি কেস, বম্বে হাইকোর্টে প্ৰমাণ দিতে চলেছে পুলিশ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest