শতাব্দী এক্সপ্রেসে আগুন। গাজিয়াবাদ স্টেশনে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, দিল্লি থেকে লখনউ যাচ্ছিল এই ট্রেন। শনিবার ৬টা ৪৫ নাগাদ এই আগুন লাগে। আতঙ্কে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন যাত্রীরা।
ট্রেন গাজিয়াবাদ স্টেশনে দাঁড় করিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করেন দমকল কর্মীরা। রেলের আধিকারিকরা জানান, পণ্যবাহী কামরায় এই আগুন লাগে। এর জেরে প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ক্ষতিগ্রস্ত বগিটি বাদ দিয়েই ফের যাত্রা শুরু করে জন শতাব্দী। এই ঘটনায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
যদিও কী ভাবে এই আগুন লাগল তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। দমকলের অনুমান, কামরার পিছনে জেনারেটর থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। তবে আগুন লাগার আসল কারণের খোঁজ চলছে।
আরও পড়ুন: মোদীর প্রধান উপদেষ্টা পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পি কে সিন্হা, কারণ ঘিরে উঠছে প্রশ্ন
দমকল কর্মীরা জানান, ৭টা ৪ নাগাদ তাঁদের কাছে খবর আসে। মিনিট ১৫-র মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। তার আগে অবশ্য রেললাইনের উপরের বিদ্যুতবাহী তারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ততক্ষণে ট্রেন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে ফেলেছেন রেলকর্মীরা।
Fire breaks out at the generator car of Shatabdi Express at Ghaziabad railway station. More details awaited. pic.twitter.com/qjgCuSWdMF
— ANI UP (@ANINewsUP) March 20, 2021
শেষের দিকের জ্বলন্ত কামরাগুলি মূলত লাগেজ কম্পার্টমেন্ট ছিল। ফলে দ্রুত আগুন বাড়তে থাকে। কিন্তু এই একই কারণে কোনও বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করছেন দমকলকর্মীরা।
প্রায় ৩০ মিনিট দমকলের চারটি ইঞ্জিনের প্রচেষ্টায় নেভে আগুন। পুড়ে যাওয়া কামরাগুলি খতিয়ে দেখেন রেলকর্মী ও দমকলকর্মীরা। দেখা যায় উপরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আপাতত চলার অবস্থা রয়েছে। সেই বুঝেই সকাল ৮টা ২০ নাগাদ আবার লক্ষ্ণৌ-এর উদ্দেশে রওনা দেয় শতাব্দী।
গত সপ্তাহেই দিল্লি থেকে দেহরাদুনগামী শতাব্দী এক্সপ্রেসে আগুন লাগে। উত্তরাখণ্ডের কাঁসরোয়ের কাছে আচমকাই ট্রেনের C-4 কামরায় আগুন লেগে যায়। সেই সময় ওই কামরায় উপস্থিত ছিলেন ৩৫ জন যাত্রী। তবে সকলকেই নিরাপদ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: এখনও কি অনগ্রসরতা কাটানো যায়নি? কত প্রজন্ম ধরে চলবে সংরক্ষণ? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের