Site icon The News Nest

প্রয়াত দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও দিল্লি কংগ্রেস সভানেত্রী শীলা দীক্ষিত

dixit

#নয়াদিল্লি: শনিবার দুপুরে প্রয়াত হলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। দিল্লির তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শীলা। ৮১ বছর বয়সে প্রয়াণ ঘটল দিল্লি কংগ্রেস সভানেত্রীর।

১৯৯৮-২০১৩ পর্যন্ত টানা ১৫ বছর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। গত বছর ফ্রান্সে নিয়ে গিয়ে তাঁর হার্টে অস্ত্রোপচার করানো হয়। তার আগে ২০১২ সালেও তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়। পাশাপাশি সংক্রমণের শিকার হয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হয়েছে একাধিকবার। তবে গত কয়েক দিন ধরেই তাঁর শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন শীলা। এ দিন সকালেই তাঁকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। এসকর্ট হার্ট ইনস্টিটিউটের আইসিইউ-তে ছিলেন তিনি।

দিল্লির যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শীলা দীক্ষিত, সেখানকার চিকিৎসক অশোক শেঠ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন শীলা দীক্ষিত। দপুর ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। সেখানেই ৩টে ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’’

দলীয় নেত্রীর জীবনাবসানে তাঁর পরিবাবেরর প্রতি সমবেদনা জানায় কংগ্রেস। দলের সরকারি টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়, “শ্রীমতি শীলা দীক্ষিতের মৃত্যুসংবাদ শুনে আমরা মর্মাহত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসনেত্রী এবং তিনবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তাঁর পরিবার এবং আত্মীয়দের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। আশা কবর, তাঁর পরিবার এই আঘাত কাটিয়ে ওঠার শক্তি পাবে”।

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ টুইটারে লেখেন, ‘ওঁর হাতেই দিল্লির ভোল পাল্টে যায়। তার জন্য চিরদিন মানুষ ওঁকে মনে রাখবেন। ওঁর পরিবার এবং সহযোগীদের সমবেদনা জানাই।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে লেখেন, ‘শীলা দীক্ষিতজির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। প্রাণবন্ত এবং অমায়িক ব্যক্তিত্বের জন্য পরিচিত ছিলেন উনি। দিল্লির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ওঁর পরিবার এবং সমর্থকদের সমবেদনা জানাই।’

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী রবিবার দুপুর ২টোয় দিল্লির নিগমবোধ ঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

প্রসঙ্গত, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীপদে আসীন হওয়ার আগেই ১৯৮৪ সালে উত্তরপ্রদেশের কনৌজ থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। এমনকী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্ব হাতছাড়া হওয়ার পর তাঁকে কেরলের রাজ্যপালপদেও নিযুক্ত করা হয়। গত জানুয়ারি মাসে স্বাস্থ্যজনিত কারণে দিল্লির কংগ্রেস সভাপতি অজয় মাকেন ইস্তফা দিলে তাঁকেই সভানেত্রী করে গত লোকসভা ভোটে লড়াই করে কংগ্রেস।

Exit mobile version