বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ, গ্রেফতার তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ ও অ্যালকেমিস্ট কর্তা কেডি সিং

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ইডির হাতে গ্রেফতার অ্যালকেমিস্ট কর্তা কেডি সিং। বুধবার দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের রাজ্যসভার এই প্রাক্তন সাংসদকে। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এদিনই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় এই গ্রেফতারি। এদিন আদালতে তোলা হলে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

অভিযোগ, বাজার থেকে বিপুল টাকা তুলেছেন অ্যালকেমিস্টের কর্ণধার। পরে সেই টাকা বিদেশে পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও এই মামলায় অ্যালকেমিস্টের বিভিন্ন আধিকারিককে জেরা করা হয়েছিল। অভিযোগ, এই সংস্থার অ্যাকাউন্টেও টাকা নয়ছয় হয়েছে। প্রচুর টাকার হদিশ মিলছে না। সেই টাকাও কোথাও পাচার হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদকে মঙ্গলবার দিল্লির সদর দফতরে ডাকা হয়েছিল। প্রায় সাড়ে ছ’ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর থেকে চাওয়া হয় বিভিন্ন নথি। একইসঙ্গে তাঁকে বুধবার আরও এক দফায় ডাকা হয়। কিন্তু সেখানে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ নথি পেশ করতে পারেননি বলে সূত্রের খবর। তারপরই কে ডি সিংকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীদের অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না প্রাক্তন সাংসদ।

আরও পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীর খুনি গডসের অনুপ্রেরণা ছিল শ্যামাপ্রসাদ, সাভারকর, দাবি হিন্দু মহাসভার

সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে যায় লগ্নিসংস্থা অ্যালকেমিস্টের নাম। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করে ইডি। তদন্তকারীদের অভিযোগ ছিল, ২০১৫ সালের মধ্যে বেআইনিভাবে বাজার থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তোলা তুলেছিল অ্যালকেমিস্ট। অঙ্কটা প্রায় ১,৯১৬ কোটি টাকা হবে।

বিধানসভা ভোটের মাসকয়েক আগেই তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদের গ্রেফতারির ঘটনায় যথারীতি রাজনীতি শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন কে ডি। কিন্তু ২০১৬ সালে নারদ কাণ্ডের পর তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কে ছেদ পড়ে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় দাবি করেছেন, কে ডির সঙ্গে দীর্ঘদিন তৃণমূলের সম্পর্ক ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তিনি এখন সাংসদও নয়। দোষ নিশ্চয়ই করেছে, তাই গ্রেফতার করা হয়েছে’। একধাপ এগিয়ে আবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ২০১৩ সালেই তিনি কে ডির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। কিন্তু তৎকালীন তৃণমূল নেতা মুকুল রায় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভুল বুঝিয়ে দলে নিয়েছিলেন। তাই সেই ঘটনায় মুকুলকেও গ্রেফতার করা উচিত ইডির।

পালটা বিজেপির দাবি, এখন তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও যখন কে ডির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, তখন তাঁর সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের তো দহরম-মহরম ছিল। একইসঙ্গে বহিরাগত ইস্যুতেও খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, তৃণমূল তো অমিত শাহ, জে পি নড্ডাদের বহিরাগত বলে। কে ডিকেও তো বাইরে থেকে এনে সাংসদ করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: যে মুসলিমদের দেশের ভ্যাকসিনে বিশ্বাস নেই তারা পাকিস্তানে যাক: বিজেপি বিধায়ক সংগীত সোম

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest