সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে চাকরি খোয়াতে হল গোএয়ারের এক সিনিয়র পাইলটকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আচরণ সংক্রান্ত সংস্থার বিধি লঙ্ঘন করেছেন বলেই তাঁকে চাকরি থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই বিমান সংস্থা। তবে গোটা ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে তারা।
চাকরি হারানো ওই পাইলটের নাম মিকি মালিক। সম্প্রতি টুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মূর্খ। পাল্টা আমাকে মূর্খ বলতেই পারেন আপনারা। অসুবিধা নেই। আমি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নই। কারণ দেশের প্রধানমন্ত্রী নই আমি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মূর্খই। পিরিয়ড’।
মিকির এই টুইট ঘিরে বিতর্ক দানা বাধতে সময় লাগেনি। তার জেরে তড়িঘড়ি টুইটটি মুছে ফেলেন তিনি। নিজের অ্যাকাউন্টও লক করে দেন। তার পর ক্ষমা চেয়ে লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে টুইটের জন্য ক্ষমা চাইছে। আমার অন্য কোনও টুইটেও যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী আমি। তবে আমার কোনও টুইটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে গোএয়ারের কোনও সংযোগ নেই’।
আরও পড়ুন: ট্রাক্টরের গর্জনে কাঁপছে দিল্লি! আজ তো স্রেফ ট্রেলর, হুঁশিয়ারি কৃষকদের; কেন্দ্রের মুখে কুলুপ
ঘটনার ৩ দিনের মাথায় তাঁকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে গোএয়ার। কারণ হিসেবে জানানো হয়, এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ নিয়ে চলে সংস্থা।
বিবৃতিতে গো এয়ার সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ‘গো এয়ার কর্মীদের আচরণবিধিতে উল্লিখিত আপসহীন নীতির ভিত্তিতে সংস্থার নিয়োগ রীতি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি সংক্রান্ত শর্তাবলী ও নীতি মেনে চলা আবশ্যিক।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কোনও কর্মী বা ব্যক্তি বিশেষের ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও ধারণার সঙ্গে উড়ান সংস্থা যুক্ত থাকে না। অবিলম্বে ওই বিমানচালককে বরখাস্ত করেছে গো এয়ার।’
তবে এই প্রথম নয়। সোশ্যাল মিডিয়া আচরণবিধির নিয়মে গত বছর জুনেই এক প্রশিক্ষণরত পাইলটকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে গোএয়ার। ওই পাইলট সীতা এবং হিন্দুত্ব নিয়ে আপত্তিজনক টুইট করেছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও পরে জানা যায় ওই পাইলটের সমনামের অন্য একটি ব্যক্তি ওই টুইটটি করেন। বিষয়টি পরে আদালতেও পৌঁছয়।
আরও পড়ুন: মোদীর তৈরি নেতাজি কমিটিতে সৌরভ, মমতা-বুদ্ধদেব, মিঠুন-কাজল