কারা নিতে পারবেন করোনা ভ্যাকসিন, কারা নয়, নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দেশ জুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে শনিবার। তার ঠিক আগে এই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্র।  কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন নিয়ে ফ্যাক্ট শিট ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে সব রাজ্যকে। তাতে বলা হয়েছে, কী কী করা যাবে, আর কী নয়।

  • সরকার জানিয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে। প্রসূতি এবং যাঁরা শিশুদের স্তন্যপান করান এমন মহিলারা টিকা নিতে পারবেন না।
  • দেশে দু’টি সংস্থার টিকা দেওয়া হচ্ছে। সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, যাঁরা টিকা নিচ্ছেন তাঁরা যে কোনও একটি সংস্থারই টিকা নিতে পারবেন। টিকার প্রথম ডোজ যে সংস্থার হবে, দ্বিতীয় ডোজটিও ওই সংস্থারই নিতে হবে।অর্থাৎ একটি ডোজ কোভিশিল্ডের, পরের ডোজ কোভ্যাক্সিনের-এমনটা করা যাবে না।

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের কমিটিতে কেন কৃষি আইনের সমর্থকরাই, সরব আন্দোলনরত কৃষকরা

  • যদি কোনও ব্যক্তি অন্য রোগের জন্য টিকা নিয়ে থাকেন, তা হলে সেই টিকার সঙ্গে কোভিড টিকা নেওয়ার সময়ের ফারাক ১৪ দিন হতে হবে। এ ছাড়া, কোভিড পজিটিভে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠেছেন, এমন ব্যক্তিরা সুস্থ হওয়ার ৪-৮ সপ্তাহ পর কোভিড টিকা নিতে পারবেন।
  • আবার যে কোভিড রোগীদের প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছে, সুস্থ হওয়ার ৪-৮ সপ্তাহ বাদে তাঁরা টিকা নিতে পারবেন। পাশাপাশি, যাঁরা কোনও রোগে আক্রান্ত বা হাসপাতালে ভর্তি তাঁরা সুস্থ হওয়ার ৪-৮ সপ্তাহ বাদে টিকা নিতে পারবেন
  • নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে সব ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, যাঁরা কঠিন রোগে আক্রান্ত তা সে হৃদরোগ, স্নায়ু, বা ফুসফুসজনিত রোগ বা এইআইভি— এমন রোগীদের টিকা দেওয়া যেতে পারে।
  • যাদের অ্যালার্জি আছে কোনও ওষুধ, খাবার বা ভ্যাকসিন থেকে তাদের কোভিড টিকা দিতে নিষেধ করা হয়েছে।
  • যাদের রক্তক্ষরণ বা রক্তজমাট বাধার রোগ আছে তারা খুব সতর্ক ভাবে টিকা নিন।
  • দুটি টিকা নেওয়ার পরেই যে সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে সেগুলি হল ইনজেকশন যেখানে দেওয়া আছে সেখানটা ফুলে গেল, ব্যথা করতে লাগল, মাথা ব্য়থা, ক্লান্তি, শিহরন, বমি, ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে টিকাকরণ কর্মসূচি। দেশের ৩ হাজার ৬টি কেন্দ্রে প্রায় ৩ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীকে এই পর্বে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার দেশের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করবেন।

আরও পড়ুন: ‘আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট ভাল নয়’ এগিয়ে আসতে পারে বাংলার ভোট, বার্তা জৈনের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest