অক্সিজেনের হাহাকার, প্রাণ বাঁচাতে শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের

কয়েকটি রাজ্য সরকারের আবেদনের পর আসরে নেমে পড়েছে ভারতীয় রেল। তৈরি করে ফেলেছে রুট ম্যাপ এবং ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

উর্ধ্বমুখী করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে অক্সিজেনের ‘আকাল’ দেখা দিয়েছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছিল। তার জেরে আগামী ২২ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) থেকে শিল্পের কাজে যে অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়, তার জোগানের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাল কেন্দ্র। কয়েকটি ক্ষেত্রকে অবশ্য সেই তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়েছে।

রবিবার প্রত্যেকটি রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা। সেখানে শিল্পক্ষেত্রে অক্সিজেনের ব্যবহারে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করার নির্দেশ তিনি। তবে, ওষুধ শিল্প, তেল, স্টিল, পরমাণু চুল্লি, খাদ্য ও জল শুদ্ধিকরণ, বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্পের মতো নয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিল্পক্ষেত্রে এই নিশেষধাজ্ঞা বলবৎ হবে না। এদিকে, রাজধানী দিল্লি-সহ মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মতো রাজ্যগুলিতে রীতিমতো অক্সিজেনের হাহাকার শুরু হয়েছে। রবিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন।

আরও পড়ুন: মিলছে না মৃতের সংখ্যা, ২৪ ঘন্টা জ্বলন্ত চিতার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শ্মশান ঢাকল যোগীরাজ্য

পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। এতদিন অক্সিজেন (Oxygen) মূলত সড়ক পথেই পাঠানো হত। কিন্তু করোনা (Corona) পরিস্থিতিতে অক্সিজেন আরও দ্রুত দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কয়েকটি রাজ্য সরকারের আবেদনের পর আসরে নেমে পড়েছে ভারতীয় রেল। তৈরি করে ফেলেছে রুট ম্যাপ এবং ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’। কোন পথে কী পদ্ধতিতে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার পৌঁছে দেওয়া যায় তার পরিকল্পনাও তৈরি।

এদিকে, দেশজুড়ে লাগাতার বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণের হারে এই মুহূর্তে তালিকায় সবার উপরে স্থান করে নিয়েছে ছত্তিশগড়। ওই রাজ্যে সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার প্রায় ৩০.৩৮ শতাংশ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে গোয়া (২৪.২৪ শতাংশ) ও মহারাষ্ট্র (২৪.১৭ শতাংশ)। তবে এতো হিমশৈলের চূড়ামাত্র। আগামী এক মাসেও পরিস্থিতি উন্নতির বিশেষ সম্ভাবনা দেখছেন না স্বাস্থ্য-কর্তারা। আজ বা কালকের মধ্যেই দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা তিন লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। ফলে ভাইরাসটিকে রুখতে লড়াই যে আরও কঠিন হতে চলেছে তা স্পষ্ট।

আরও পড়ুন: রোজা পালন করছেন আইনজীবী, প্রশংসা করে শুনানি পিছলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest