Site icon The News Nest

‘হিংসা ও বিদ্বেষ পোস্ট’, বিজেপি MLA রাজা সিং-কে BAN করল ফেসবুক

raja singh 2

অবশেষে টনক নড়ল ফেসবুকের । হেট স্পিচ নিয়ে সপ্তাহখানেক ধরে নানা মহলে চাপের মুখে পড়ে এ বার কড়া পদক্ষেপ করল ফেসবুক। পোস্ট করা কনটেন্টের মাধ্যমে হিংসা ও ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বিজেপি বিধায়ক টি রাজা সিং-কে।

রেছে, বিজেপি-র পক্ষপাতিত্ব করছে ফেসবুক ইন্ডিয়া ৷ ফেসবুক জানিয়েছে, টি রাজা সিং নানা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন, যা সংস্থার নীতির বিরুদ্ধে৷ তাই বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জেরেই তাঁকে ব্যান করা হল৷ ফেসবুক-এর কন্টেন্ট নীতি লঙ্ঘন করার জন্য টি রাজা সিংয়ের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করা হল৷

ই মেলে বিবৃতি দিয়ে ফেসবুকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘ফেসবুকের নীতি লঙঅঘনের কারণে আমরা রাজা সিং-কে ব্যান করেছি। আমাদের প্ল্যাটফর্মে থেকে যাঁরা হিংসা ও ঘৃণা ছড়াবেন, তাঁদের নিষিদ্ধ করাটাই আমাদের নীতি।’

আরও পড়ুনহ্যাকারদের কবলে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের টুইটার হ্যান্ডল, ছড়িয়েছে ভুয়ো টুইট

ভারতে ফেসবুকের প্রায় ৪ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে ৷ সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত একটি খবরের পর থেকেই তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েছে ফেসবুক৷ ওই খবরে বলা হয়, ভারতে শাসকদল বিজেপি-র পক্ষে কাজ করছে ফেসবুক৷ বিজেপি বিধায়ক রাজা সিংয়ের হিংসামূলক পোস্টের বিরুদ্ধে ফেসবুক কোনও পদক্ষেপ করেনি৷ তারপর থেকেই ফেসবুক-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে সরব হয় বিরোধী দলগুলি৷

ফেসবুককে ভাঙিয়ে কারা রাজনৈতিক ফায়দা তুলেছে বিজেপি। এই বিতর্কে এখন ভারতীয় রাজনীতি সরগরম। সেই বিতর্ক আরও তীব্র হয় বুধবার৷ রাহুল গান্ধী আগেই ফেসবুক করতে জুকারবার্গকে চিঠি লিখেছেন। বিজেপির হয়ে রাজনৈতিক প্রচারের কাজ চালাচ্ছে ফেসবুক, এই অভিযোগ আগেই তুলেছে বিরোধী শিবির৷ এ নিয়েই ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকেরবার্গকে চিঠি লিখেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন৷

তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই ইস্যুতে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধী সাংসদরা৷ ফেসবুক ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজিত মোহনকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শাসক-বিরোধী দু’পক্ষের সাংসদরাই! অজিতের অবশ্য দাবি, ফেসবুক কোনও দেশেই পক্ষপাতিত্ব করে না।

কংগ্রেস নেতা শশী থারুর সংসদের ওই স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান৷ বুধবারের ওই বৈঠক চলে প্রায় ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট৷ বিজেপি ও কংগ্রেস– উভয় পক্ষই ফেসবুক কর্তার সামনে একে অপরের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রসঙ্গ তোলে৷ বিরোধীরা যখন তেলঙ্গানার বিধায়ক রাজা সিং ও পশ্চিমবঙ্গে অমিত শাহের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রসঙ্গে তোলেন, তখন বিজেপি-ও সনিয়া গান্ধির ‘আর ইয়া পার কি লড়াই’ ও সিএএ বিরোধিতায় বাম নেতা কানহাইয়া কুমারের উস্কানিমূলক মন্তব্যের প্রসঙ্গে টেনে আনে৷

বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গে ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় তার সরাসরি সম্প্রচার কেন তৃণমূল সমর্থকদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তা অজিত মোহনের কাছে জানতে চান মহুয়া।

আরও পড়ুন : ‘মোদীর তৈরি বিপর্যয়’-এ ভুগছে দেশ, ফাঁকা নয়, এবার তালিকা দিয়ে আক্রমণ রাহুলের

Exit mobile version