লিঙ্গবৈষম্যের ভিত্তিতে ভারতে মহিলারা হিংসার শিকার, হাথরাসে কান্ড নিয়ে এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সমালোচনার মুখে কেন্দ্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সোমবার উত্তরপ্রদেশে হাথরাস ও বলরামপুরে ধর্ষণ নিয়ে সোমবার মন্তব্য করে রাষ্ট্রপুঞ্জের ভারতীয় শাখা। এক বিবৃতিতে ওই সংস্থা বলে, হাথরাস ও বলরামপুরে ধর্ষণের যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে আমরা বুঝতে পারি, সমাজের পশ্চাৎপদ অংশের মহিলা ও বালিকারা বেশি করে লিঙ্গভিত্তিক হিংসার শিকার হন।

হাথরাস (Hathras Gang Rape), বলরামপুরের ঘটনা দেশে নারী নিরাপত্তার বাস্তব ছবিটা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ এবং নৃশংসতা এবার আন্তর্জাতিক ফোরামেও অস্বস্তি বাড়াল ভারতের। হাথরাস এবং বলরামপুরের ঘটনা জাতীয় রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে আকর্ষণ করেছে রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) দৃষ্টিও। খোদ রাষ্ট্রসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর এই দুই ঘটনার উদাহরণ টেনে ভারতে নারী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে,”হাথরাস এবং বলরামপুরের ঘটনা আরও একবার মনে করিয়ে দিল ভারতে মহিলারা এখনও পিছিয়ে। আর লিঙ্গবৈষম্যের ভিত্তিতে হিংসার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা তাঁদেরই বেশি।”

রাষ্ট্রসংঘের আধিকারিকের এই মন্তব্য যে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্বল করবে না, তা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়। আর সেটা বুঝতে পেরেই সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের আধিকারিকের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব (Anurag Srivastava) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,”রাষ্ট্রসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে কিছু অযাচিত মন্তব্য করেছেন। তাঁর জানা উচিত, সরকার এই ধরনের ঘটনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আর এই ধরনের ইস্যুতে বাইরের কোনও এজেন্সির কাছে কোনও মন্তব্য প্রত্যাশিত নয়।”

আরও পড়ুন: রামবিলাসকে ‘বাইপাস’ করে নীতীশের সঙ্গে গাঁটছড়া বিজেপির

পরে অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “ওই ঘটনাগুলিতে তদন্ত চলছে। এই সময় বাইরের কোনও সংস্থার মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। সংবিধানে দেশের সব নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে আমরা অতীতে সমাজের সব অংশের মানুষের জন্য ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা করেছি।”

গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে এক দলিত তরুণীকে চার উচ্চবর্ণের ব্যক্তি ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার পরিবারের দাবি, তাঁরা দলিত হওয়ার জন্যই পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি করেছিল। গণধর্ষণের পরে তরুণীর ওপরে বীভৎস অত্যাচার করে অপরাধীরা। তাঁর শরীরে নানা জায়গায় হাড় ভেঙে যায়। সারা শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়। ঘাড়ে গভীর ক্ষত থাকার জন্য তাঁর নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। পুলিশ জানায়, তরুণীর জিভেও ক্ষত ছিল। চার অপরাধী যখন তাঁকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করছিল, তখন তিনি নিজের জিভ কামড়ে ফেলেন।

অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জোর করে তাঁর দেহ আত্মীয়দের থেকে কেড়ে নিয়ে যায়। পরিবারকে বাড়িতে আটকে রাখা হয়। কয়েকজন পুলিশকর্মী মিলে রাত আড়াইটেয় তরুণীর দেহ পুড়িয়ে দেন।

আরও পড়ুন: ‘মেয়েদের দিতে হবে সুশিক্ষা,তবেই রোখা যাবে ধর্ষণ’,মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest