উন্নাও, কাঠুয়া কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি! হাথরাস অভিযুক্তদের সমর্থনে সভার আয়োজন বিজেপির

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কাঠুয়ার কথা মনে আছে? উন্নাও? যেখানে ধর্ষণ এবং খুনের মতো নৃশংস অপরাধের অভিযুক্তদের সমর্থনেও মিছিল বেরিয়েছিল। সভা হয়েছিল। হাথরাসের (Hathras Gang Rape) ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না। গণধর্ষণে অভিযুক্তদের সমর্থনে বড়সড় সভার আয়োজন করলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা রাজবীর সিং পেহেলবান। যিনি কিনা একটা সময় বিজেপির টিকিটে বিধায়কও হয়েছেন। তাঁর বাড়িতেই অভিযুক্তদের ‘সুবিচারে’র দাবিতে এই সভাটির আয়োজন করা হয়েছিল। এমনটাই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।

হাথরসের স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার উচ্চবর্ণের বিজেপি নেতা রাজবীর সিংহ পেহলওয়ানের বাড়িতে শুক্রবার বৈঠকে বসেছিলেন ওই গ্রামের বেশ কিছু উচ্চবর্ণের প্রতিনিধি। ওই বৈঠকে এক অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন বলে খবর। রাজবীর সিংহ বৈঠকের কথা স্বীকার করেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে বিষয়টির দিকে নজর রাখছেন। বৈঠকে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেছেন, ‘‘আমরা পুলিশকে বৈঠকের কথা জানিয়েছি। নির্যাতিতার পরিবারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়া উচিত। অভিযুক্তদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: রামবিলাসকে ‘বাইপাস’ করে নীতীশের সঙ্গে গাঁটছড়া বিজেপির

পুলিশ-প্রশাসন অবশ্য এমন কোনও বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছে। হাথরসের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট প্রেমপ্রকাশ মীনা বলেছেন, এমন কোনও বৈঠকের কথা তাঁদের জানা নেই। নির্যাতিতার পরিবারকে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তদের পরিবার-পরিজন ও উচ্চবর্ণের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। সে অভিযোগ উড়িয়ে প্রেমপ্রকাশ বলেন, ‘‘মৃতার পরিবারের উপর কোনও চাপ নেই। রাজনৈতিক নেতারাও সর্বোচ্চ ৫ জন করে বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে পারেন।’’

অথচ আজ, রবিবারের আগে পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতা বা বহিরাগত কেউ-ই গ্রামে ঢুকতে পারেননি। এমনকি, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও হাথরসের ওই গ্রামের সীমানায় ব্যারিকডের কাছে আটকে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ কংগ্রেস নেতাদের আটকে দিয়েছিল পুলিশ। রাহুলকে গলাধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। পরের দিন শুক্রবার তৃণমূল সাংসদ-প্রাক্তন সাংসদদের প্রতিনিধিরাও গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করেও আটকে পড়েন পুলিশি বাধায়। ডেরেক ও’ব্রায়েনকেও ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়ার ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। তবে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে নিয়ন্ত্রণ কিছুটা শিথিল হয়েছে। এ দিন গ্রামে ঢুকেছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা সহ কংগ্রেস প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন: ‘মেয়েদের দিতে হবে সুশিক্ষা,তবেই রোখা যাবে ধর্ষণ’,মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest