Site icon The News Nest

‘বিরল এবং ভয়ঙ্কর’, হাথরস কাণ্ড নিয়ে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

hathras 1

‘হাথরাসের (Hathras Rape) তরুণীর ধর্ষণই হয়নি। স্রেফ রাজ্য সরকারে বদনাম করতে ও হিংসা ছড়াতেই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।’ সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার (UP Government)। তবে হাথরসের ঘটনাকে ‘অত্যন্ত অস্বাভাবিক’ (ভেরি এক্সট্রাঅর্ডিনারি) বলে আখ্যা দিয়ে সুবিচারের আশ্বাস দিল সুপ্রিম কোর্ট।

হাথরাসের তরুণীর ধর্ষণই হয়নি তা প্রমাণ করতে উত্তরপ্রদেশে প্রশাসন জেজে হাসপাতাল ও ফরেনসিক রিপোর্টকে হাতিয়ার করেছে, যে রিপোর্টে বলা হয়েছিল, মেয়েটির ধর্ষণ হয়নি। তাঁর দেহে পেনিট্রেশনের চিহ্ন বা বীর্যের উপস্থিতি মেলেনি। হাথরস কাণ্ড নিয়ে এ দিন ফের মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন চান না, তাঁরাই সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। দোষীদের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। আমরা সদর্থক মনোভাব নিয়েই এগোচ্ছি।’’

আরও পড়ুন : দোকান থেকেই ছুটে আসে গুলি! খুনি দাঁড়িয়ে ছিল মণীশের গা ঘেঁষেই,স্পষ্ট CCTV ফুটেজে

মধ্যরাতে লাশ দাহ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে যোগীর প্রশাসন।সিবিআই নয়. বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি শেষে নির্যাতিতার পরিবার ও এই ঘটনার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সপ্তাহে।

সুপ্রিম কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত অথবা কর্মরত বিচারপতির নজরদারিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে একটি জনস্বার্থ মামলা। মঙ্গলবার সেই মামলা ওঠে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চে। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি মামলাকারীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনি কি বিচার বা তদন্ত অন্যন্ত সরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন? ঘটনা অত্যন্ত অস্বাভাবিক ও মর্মান্তিক বলেই আমরা মামলা শুনছি।’’

হাথরস কাণ্ডে ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হস্তক্ষেপ করেছে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। ১৪ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের আদালতে তলব করা হয়েছে। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘ইলাহাবাদ হাইকোর্টে না গিয়ে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে মামলা কেন?” জবাবে মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ বলেন, মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তাঁরা চান, উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক্তিয়ার বহির্ভূত কোনও জায়গায় মামলা সরানো হোক।

১৪ সেপ্টম্বর হাথরাসের গ্রামে এক দলিত তরুণীকে ধর্ষণ করে চারজন। দু’সপ্তাহ লড়াইয়ের পর মৃত্যু হয় তাঁর। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে জোর করে দেহ দাহ করার অভিযোগ ওঠে। আদালতে জমা করা হলফনামায় সেই অভিযোগ খারিজ করে যোগী সরকারের দাবি, অশান্তি এড়াতেই এই পদক্ষেপ করে পুলিশ। হলফনামায় বলা হয়েছে, গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছিল সকালে শেষকৃত্য করলে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হত। অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করত। আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন : ফের জামিনের আবেদন খারিজ, আপাতত বাইকুল্লা জেলেই ঠিকানা রিয়ার

 

Exit mobile version