Site icon The News Nest

ভারতীয় পাইলট হিসাবে প্রথম রাফাল ওড়ালেন কাশ্মীরের ছেলে হিলাল আহমেদ রাঠের

ফ্রান্স থেকে পাঁচটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান দ্রুত ভারতে পাঠানোর পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কাশ্মীরের অনন্তনাগের বাসিন্দা এয়ার কমোডোর হিলাল আহমেদ রাঠেরের। তিনিই প্রথম ভারতীয় বিমানচালক, যিনি রাফাল ওড়ালেন।  বর্তমানে ফ্রান্সে তিনি ভারত সরকারের এয়ার অ্যাটাশে পদে রয়েছেন।

শত্রুর বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে বুধবার আম্বালা বিমানঘাঁটিতে নেমেছে ৫টি ফরাসি যুদ্ধবিমান। চিনের সঙ্গে সংঘর্ষের আবহে নির্ধারিত সময়ে ভারতের হাতে যে বিমানগুলি এসেছে এর নেপথ্যে রয়েছে কাশ্মীরের বাসিন্দা এক বায়ুসেনা অফিসারের নিরলস চেষ্টা। বায়ুসেনার শক্তি বাড়িয়ে আজ দেশের হিরো এয়ার কমোডোর হিলাল আহমেদ রাঠের৷ রাঠেরর পাশাপাশি আরও একজনকে ভারতের হাতে দ্রুত রাফাল এসে পৌঁছনোর কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ তিনি হলেন ফ্রান্সে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জাভেদ আসরফ৷

আরও পড়ুন :  লিপস্টিক পড়তে ভালোবাসেন? জেনে নিন কি ভাবে ঠোঁটে রং হবে দীর্ঘস্থায়ী

ভারতের হাতে যাতে দ্রুত বিমানগুলি পৌঁছয়, তার মধ্যস্থতায় আগাগোড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন  করেছিলেন আদতে কাশ্মীরের অনন্তনাগের বাসিন্দা হিলাল আহমেদ রাঠের। ফ্রান্সে ভারতের রাষ্ট্রদূতের পাশে সর্বদা উপস্থিত থাকা এই ব্যক্তি বর্তমানে প্যারিসে ভারতের মিলিটারি অ্যাটাশে। ভারতের প্রয়োজনের উপযুক্ত করে বিমানগুলির প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোগত পরিবর্তনেও যুক্ত ছিলেন হিলাল।

দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বাকশিয়াবাদের বাসিন্দা হিলাল পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। তাঁর বাবা মহম্মদ আবদুল্লা রাঠের পুলিশের ডেপুটি সুপার পদে ছিলেন। স্থানীয় বেসরকারি স্কুল থেকে পাশ করার পরে নাগরোটার সৈনিক স্কুলে ভর্তি হন হিলাল। এর পর ডিফেন্স সার্ভিস স্টাফ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি পান তিনি। আমেরিকার এয়ার ওয়ার কলেজের ডিগ্রিও আছে তাঁর।
১৯৮৮ সালে ফাইটার জেটের পাইলট হিসেবে বায়ুসেনায় যোগ দেন তিনি। ১৯৯৩ সালে হন ফ্লাইট  লেফটেন্যান্ট। কর্মক্ষেত্রে উৎকর্ষতার জন্য ২০১০ সালে ২০১০ সালে উইং কমান্ডার থাকাকালীন ‘বায়ু সেনা মেডেল’ পান তিনি। ২০১৬ সালে গ্রুপ ক্যাপ্টেন থাকাকালীন পান ‘বিশিষ্ট সেনা মেডেল’। কোনও দুর্ঘটনা ছাড়া ৩০০০ ঘণ্টার বেশি যুদ্ধবিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
Exit mobile version