‘গুজরাতের থেকে সংস্কৃতিতে এগিয়ে বাংলা’- রামচন্দ্র গুহর টুইট ‘হজম’ হচ্ছে না বিজেপির

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest: অর্থ না সংস্কৃতি, কোনও জাতির শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি ঠিক কি, এই প্রসঙ্গে সরাসরি বাংলা ও গুজরাতের তুলনা টেনে এনে আজ বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ। 

আশি বছর আগের এক উদ্ধৃতি। সেটা নিয়েই টুইটারে বাঁধল দক্ষযজ্ঞ। স্বয়ং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পর্যন্ত জড়িয়ে গেলেন বিতর্কে। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকলেও সংস্কৃতিতে বাংলা এগিয়ে গুজরাতের চেয়ে, ১৯৩৯ সালে ফিলিপ স্প্র্যাটের করা উদ্ধৃতি নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক। 

রামচন্দ্র গুহ এই টুইট করেছিলেন …। 

বিজেপি নেতৃত্বের পাখির চোখ বাংলা দখল। যার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘটনাচক্রে দু’জনেই গুজরাতি। উভয়েরই দাবি, ক্ষমতায় এলে সোনার বাংলা গড়বে বিজেপি। অতীতে যে বাংলা বৌদ্ধিক ভাবে দেশে শ্রেষ্ঠ আসন নিয়েছিল সেই বাংলার ‘হৃত অতীত’কে ফিরিয়ে আনবে বিজেপি।

আরও পড়ুন : করোনার নয়া রেকর্ড: দিনে আক্রান্ত ১০,৯৫৬, মৃত প্রায় ৪০০,ব্রিটেনকে টপকে চতুর্থ ভারত

রামচন্দ্র টুইট করে ভিমরুলের চাকে ঢিল মেরেছেন। মনে করছেন অনেকেই। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যান অনেক গুজরাতি। দলমত নির্বিশেষে সবাই বলেন যে এটা ঠিক বলছেন না রামচন্দ্র গুহ। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি বলেন যে ভারতবাসীকে বিভক্ত করার যে চেষ্টা চলছে, তার থেকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন যে গুজরাত ও বাংলা দুই রাজ্যই ভালো, ভারত পুরোপুরি ঐক্যবদ্ধ।বিজেপির মতে, দু’রাজ্যের মধ্যে তুলনা টানা হল এক শ্রেণির বিশিষ্ট জনের ভারতকে নতুন করে ভাঙার কৌশল। 

রামচন্দ্র গুহ ব্রিটিশ লেখক ও বামপন্থী নেতা ফিলিপ স্পাটের ১৯৩৯ সালের একটি উদ্ধৃতি টুইট করেন। সে সময়ে ফিলিপ লিখেছিলেন, ‘‘গুজরাত আর্থিক ভাবে উন্নত হলে, বৌদ্ধিক ভাবে পিছিয়ে পড়া প্রদেশ। বিপরীতে বাংলা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকলেও, সাংস্কৃতিক ভাবে এগিয়ে।’’ 

বিজেপির গুজরাতি নিবাসী নেতারা তো ফুঁসছেনই, অন্য নেতার ক্ষুব্ধ। বাংলার শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিতে তারা নারাজ। বঙ্গ বিজেপি পড়েছে বেজায় ফাঁপড়ে। দিলীপ ঘোষরা শাম রাখবেন না কুল রাখবেন ঠিক করতে পারছেন না। তবে গুজরাতি নেতাদের আস্ফালনের অন্ত নেই। তারা বাংলার সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিতে নারাজ।

পরেশ রাওয়াল এতই চটেছেন যে , ভাষাজ্ঞানের তোয়াক্কা না করেই পালটা লেখেন, ‘ইতিহাস বই ধ্বংস করার পর মেরুদণ্ডহীন গুহ এবার গুজরাত-বাংলা নিয়ে নতুন পথ খুললেন। দেখে মনে হচ্ছে তিনি কারও লেজের উপর সওয়ার হয়েছেন। এই চুহা গুহ সকলের মজার পাত্র হয়েও ক্লান্ত হন না।’

গুজরাতিদের সংস্কৃতিবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এর পরে আক্রমণে নামেন একের পর এক বিজেপি নেতা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন টুইট করে বলেন, ‘‘গুহ ১৯৩৯ সালের যে ফিলিপ স্পাটের উদাহরণ টানছেন, সেই সময়ে জামনগরের মহারাজা জাম সাহেব দিগ্বিজয়সিংহ জাদেজা পোলান্ডের হাজার খানেক লোকের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন।’’ যার জবাবে গুহ টুইট করেন, ‘‘এখন দেখছি খোদ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নীরস ইতিহাসবিদের টুইট নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। (দেশের) অর্থনীতি সত্যিই সুরক্ষিত হাতে!’’ 

আরও পড়ুন : NIRF সেরার তালিকায় ‘দেশদ্রোহী’ জামিয়া মিলিয়া ও জেএনইউ

Gmail 2

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest