নয়াদিল্লি: ৩১ মে শেষ হচ্ছে চতুর্থ দফার লকডাউন৷ তারপর কি আর বাড়ানো হবে লকডাউন? কী হবে করোনা মোকাবিলায় দেশের রূপরেখা? তা নিয়ে আলোচনা করতেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ৷ প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মতামত নেওয়া হয়৷ ১ জুন থেকে কীভাবে চলতে চাইছেন তাঁরা, কোন ক্ষেত্রগুলিকেই বা খুলে দিতে চাইছেন, তার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়৷
এখনও পর্যন্ত দেশে প্রতিটি লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর আগে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এবারই প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে৷ এই বৈঠকের পর সকলের মতামত সম্পূর্ণরূপে জানা না গেলেও মোটের ওপর যে তাঁরা লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন, সেটা বোঝা গিয়েছে৷ তবে সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটতে চাননি কোন মুখ্যমন্ত্রী, অর্থনীতির দিক থেকে ছাড় দিয়ে ধীরে ধীরে সাধারণ ব্যবস্থায় ফিরে আসার পক্ষেই প্রায় সকলে৷
আরও পড়ুন: এবার করোনার থাবা বাংলার মন্ত্রিসভায়, করোনা আক্রান্ত দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু
এর আগে বৃহস্পতিবার ১৩টি শহরের মিউনিসিপ্যাল কমিশনার ও জেলা শাসকদের সঙ্গে কপ্রস্ত ভিডিও কনফারেন্স করেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌব৷ দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ করোনা সংক্রমংণ রয়েছে এই ১৩টি শহরেই৷ কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিকে পুরোপুরি সিল করার পক্ষে সওয়াল করেছেন ক্যাবিনেট সচিব৷
এই লকডাউন হওয়ার ফলে অনেকটাই উপকৃত হয়েছে দেশ। করোনা সংক্রমণ অনেকটা কম ছড়িয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে এমনটাই জানান হয়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গত একসপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই দেশে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লি, মহারাষ্ট্রে কোভিড সংকট গুরুতর। এই দুই রাজ্যেই গত ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে। বুধবার দিল্লিতে এক দিনে আক্রান্ত হয়েছে ৭৯২ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,২৫৭। তবে এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭,২৬৪ জন। মৃত্যু সংখ্যা ৩০৩। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে বুধবার একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১০৫ জনের। যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮৯৭ জনের। একদিনে সেনা-রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছে ২১৯০ জন।
আরও পড়ুন: একদিনে আক্রান্ত রেকর্ড ৭৪৬৭ জন, করোনা রোগীর সংখ্যায় এশিয়ার শীর্ষে ভারত, বিশ্বে ন’নম্বর