নয়াদিল্লি : এমনিতেই ঝিমোচ্ছিলো ,লকডাউনে আরও বিপর্যস্ত অর্থনীতি। এর মধ্যে খুব শিগগির এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়তে পারে পেট্রল এবং ডিজেলের দাম। এক্ষেত্রে সব মিলিয়ে প্রতি লিটার পেট্রল এবং ডিজেলের দাম ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বাড়াতে পারে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলি।
এখন তেল উৎপাদন সংস্থাগুলির কাছে পেট্রল-ডিজেলের উৎপাদন ও বিক্রয়ের মধ্যে ব্যবধান লিটারে ৪-৫ টাকায় পৌঁছেছে। কিন্তু লকডাউনের পরপরই দৈনিক তেলের মূল্য নির্ধারণ বন্ধ রেখেছে তারা। অর্থাৎ এই ক’দিনে তেলের দাম বাড়ে বা কমেনি। সব ঠিকঠাক থাকলে জুন মাস থেকে ফের দৈনন্দিন ভিত্তিতে জ্বালানির দাম নির্ধারণ শুরু করু করতে চলেছে তেল কোম্পানিগুলি।
সে ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে দাম বাড়ানোর পক্ষে তারা। কিছু দিনের মধ্যেই প্রতি লিটার পেট্রল ও ডিজেলের দাম বর্তমান দামের থেকে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়ে যেতে পারে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমফানে বিধ্বস্ত বাংলা, নতুন করে তৈরির জন্য সাহায্যের হাত বাড়ালেন ‘মিস ইংল্যান্ড’
১ জুন থেকে যদি পঞ্চম দফার লকডাউন শুরু হয়, তাও কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতিক্রমে দৈনন্দিন ভিত্তিতে পেট্রল ও ডিজেলের দাম নির্ধারণের পক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলি।
আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে অস্থিরতা অব্যহত। গত মাসের তুলনায় মে মাসে অপরিশোধীত তেলের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্ব বাজারে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধীত তেলের দর ৩০ মার্কিন ডলার। এবং দাম ক্রমশ বাড়ছে। এই ধারা অব্যহত থাকলে পেট্রল-ডিজেল বিক্রি করে আগামিদিনে তেল কোম্পানিগুলির লোকসান হবে। করোনা মহামারি এবং লকডাউনের জেরে এমনিতে জ্বালানির বিক্রি তলানিতে এসে ঠেকেছে।
এই পরিস্থিতিতে পেট্রল ও ডিজেলের মূল্য়বৃদ্ধি আপাত একমাত্র বিকল্প পথ বলে মনে করেছে তেল কোম্পানিগুলি। সেক্ষেত্রে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধীত তেলের দাম যদি অপরিবর্তিত থাকলে টানা কয়েক দিন জ্বালানির দাম দৈনিক গড়ে ৪০ থেকে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে তাঁরা নিজেদের লোকসান সামাল দিতে চায় তারা।
আরও পড়ুন: আমফান বিধ্বস্ত বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখলেন নুসরত, দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস