‘আত্মনির্ভরতা’র পথে আরও এক ধাপ! ১০১ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা চাপল কেন্দ্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্লোগানকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এ বার কোপ পড়ল প্রতিরক্ষা আমদানিতে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ রবিবার জানিয়েছেন, দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রগুলিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে ১০১ রকমের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কামান থেকে জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, হাল্কা যুদ্ধবিমান থেকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, অনেক কিছুই রয়েছে এই তালিকায়!

রাজনাথ আজ টুইট করেন, ‘‘২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।’’ তিনি জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে যে সমর সরঞ্জামগুলি আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তার মধ্যে স্থলসেনা ও বায়ুসেনার জন্য প্রস্তাবিত ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার উপকরণ রয়েছে। নৌসেনার উপকরণের আনুমানিক পরিমাণ ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকার। এ বার দেশীয় সংস্থাগুলি তা উৎপাদন করবে। চলতি বছরই ঘরোয়া প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ব্যয় করা হবে ৫২ হাজার কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: অমিত শাহের কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ, টুইট করেও ডিলিট মনোজ তিওয়ারির

আগামী ৬-৭ বছর ধরে দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের লক্ষ্যে চার লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি করা হবে বলে রাজনাথের দাবি। তিনি জানিয়েছেন, সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার জন্য ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ মধ্যে অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহের প্রায় ২৬০টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার মোট অঙ্ক প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে আরও কিছু অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম আমদানি বন্ধ করা হতে পারে বলেও তাঁর ইঙ্গিত। সামরিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়সীমা বজায় রাখার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে যে ১০১টি সরঞ্জামে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে, তার মধ্যে আছে আর্টিলারি বন্দুক, ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী অস্ত্র, জাহাজে থাকা ক্ষেপণাস্ত্র, লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট (এলএসি), লাইট ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট, ভূমিতে হামলা চালানোর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, যোগাযোগের উপগ্রহ (কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট), বেসিক ট্রেনার এয়ারক্রাফট, মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার, অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, ছোটো আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি)-সহ গোলাবারুদ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তালিকা অনুযায়ী, চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে ৬৯ টি সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হচ্ছে। আগামী বছর ডিসেম্বরের সেই নিষিদ্ধ তালিকায় যুক্ত হবে আরও ১১ টি সরঞ্জাম। এভাবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি ডিসেম্বরে আরও কয়েকটি সরঞ্জামের আমদানিতে বিধিনিষেধ জারি করা হবে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest