রাশিয়ার মস্কোয় এই মুহূর্তে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বার্ষিক সম্মেলন চলছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানেই মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন দু’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও উই ফেঙ্গে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) কী ভাবে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে দু’জনের মধ্যে। রাজনাথ ও উই ফেঙ্গের বৈঠক হলে তার পর আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মস্কোয় চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন এস জয়শঙ্করও।
গত চার মাস ধরে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনার জন্য সরাসরি চিনকেই দায়ী করল নয়াদিল্লি। আজ বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, গত চার মাস ধরে লাদাখে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সে জন্য দায়ী চিন। সেই সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, কূটনীতির পথেই সমস্যার সমাধান হবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
আরও পড়ুন : মাদক যোগ! রিয়ার ভাই শৌভিক ও সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে আটক করল NCB
জেনারেল উই ফেঙ্গে চিনেরা ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীর কম্যান্ডার ছিলেন। বর্তমানে চিনের স্টেট কাউন্সিলরও তিনি। সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের সদস্যও। ভারত ও চিন, দুই দেশের প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে লাদাখ নিয়ে এমন বৈঠক এই প্রথম। তাই বৈঠকের নির্যাস কী বেরিয়ে আসে, সেদিকেই এখন তাকিয়ে কূটনৈতিক মহল।
মস্কোয় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়ে আরজি জানিয়েছেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংগে। সীমান্তে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে ও সেনা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় বৈঠকে সবুজ সংকেত দিয়েছে সাউথ ব্লক। শুক্রবার অর্থাৎ আজ এই বৈঠক হওয়ার কথা।
উলেখ্য, তিনদিনের ‘Shanghai Cooperation Organisation’ সামিটে অংশ নিতে গত বুধবার রাশিয়া পৌঁছন রাজনাথ সিং। তবে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কোনও বৈঠক তাঁর কর্মসূচীতে ছিল না।সরকারি সূত্রের মতে, একমাত্র শুক্রবারই ওই বৈঠক হওয়া সম্ভব।
বিশ্লেষকদের মতে, চিন-ভারত সংঘাত মেটাতে পর্দার আড়ালে থেকে চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। বেজিং আর নয়াদিল্লি দুইয়ের উপরই প্রভাব থাকায় এই কাজে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে মস্কো। আর সাউথ ব্লকও চাইছে রুশ হস্তক্ষেপে বিবাদ মেটাতে। কিন্তু পূর্ব লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে চিনা সেনা না সরায় কড়া অবস্থান নিয়েছে নয়াদিল্লি।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘কিন্তু গত চার মাস ধরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে, লাদাখ সীমান্তে পরিস্থিতির অবনতির জন্য চিনই দায়ী। চিন একতরফা ভাবে সীমান্তের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করে চলেছে। যার ফলে গত তিন দশকে সীমান্তে যে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় ছিল, তা বিঘ্নিত হয়েছে।
ভারতে চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং জানান, ‘‘সীমান্তের বিষয়টির শান্তিপূর্ণ মীমাংসার জন্য বেশ কিছু দিন ধরে কথাবার্তা চালু রয়েছে। ভারত-চিন সীমান্তে যুক্তিগ্রাহ্য, ন্যায্য এবং উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য সূত্র বার করার জন্য চিন বরাবরই সক্রিয়।’’
আরও পড়ুন : চুমু নৈব নৈব চ! সঙ্গম করুন মাস্ক পরে, পরামর্শ কানাডার সেরা ডাক্তারের