দেশের প্রযুক্তিতে মিলল বিরাট সাফল্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন ও রাশিয়ার পর ভারতের হাতে চলে এল এই প্রযুক্তি।সোমবার ওড়িশার বালাসোরের এপিজে আবদুল কালাম টেস্টিং রেঞ্জ থেকে ‘হাইপারসনিক টেকনোলজি ডেমোনেস্ট্রেটর ভেহিকেল’ বা HSTDV-এর সফল পরীক্ষা সেরে ফেলল ভারত। এই ভেহিকেল-এ দেওয়া হয়েছে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন। শব্দের থেকে দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে কাজে লাগবে এই প্রযুক্তি।
#WATCH DRDO‘s successful demonstration of the Hypersonic air-breathing scramjet technology with the flight test of Hypersonic Technology Demonstration Vehicle, at 1103 hours today from Dr. APJ Abdul Kalam Launch Complex at Wheeler Island, off the coast of Odisha pic.twitter.com/aC1phjusDH
— ANI (@ANI) September 7, 2020
ডিআরডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র ২০ সেকেন্ডের মধ্যে এইচএসটিডিভি সাড়ে ৩২ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে যেতে পারে। চালকহীন এই বিমানের সাহায্যে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া সম্ভব। পাশাপাশি, এর বেশ কিছু অসামরিক ব্যবহারও রয়েছে। ভবিষ্যতে এইচএসটিডিভি-কে কম খরচে উপগ্রহ উত্ক্ষেপণের কাজেও ব্যবহার করা যাবে।
এই সাফল্যে ডিআরডিওকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ডিআরডিওর তরফে জানানো হয়েছে, সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে সব চাহিদা পূরণ করবে এই প্রযুক্তি।HSTDV প্রযুক্তির একটি বড় দিক হল এটি ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্রের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি খুব কম খরচে রকেট উত্ক্ষেপণও করা যাবে। ক্ষেপণাস্ত্রের গতি অন্তত ৬ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে এই প্রযুক্তি।
টুইটারে লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার আহ্বান সফল করার পথে এই যুগান্তকারী কৃতিত্বের জন্য ডিআরডিও-কে আমার অভিনন্দন। ভারত আপনাদের জন্য গর্বিত।’’ অন্য একটি টুইটে তাঁর ঘোষণা, ‘‘প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ অর্জনের লক্ষ্যে পরবর্তী পর্যায়ের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।’’
The @DRDO_India has today successfully flight tested the Hypersonic Technology Demontrator Vehicle using the indigenously developed scramjet propulsion system. With this success, all critical technologies are now established to progress to the next phase.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) September 7, 2020