১১ বছরে সর্বনিম্ন! জিডিপি বৃদ্ধির হার নামল ৪.২ শতাংশ, জানাল জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি : করোনার জেরে ১১ বছরে সব থেকে নিচে নেমে গেল দেশের প্রবৃদ্ধির হার। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে দেশের বৃদ্ধি হার নেমে গেল ৩.১ শতাংশে। আজ রিপোর্ট পেশ করে এই কথা জানানো হয় কেন্দ্রের তরফে।

এই ত্রৈমাসিকের মধ্যে অবশ্য লকডাউন ছিল মাত্র এক সপ্তাহ। ফলে পরের ত্রৈমাসিকে এক ধাক্কায় জিডিপি বৃদ্ধির হার অনেকটা নীচে নেমে যেতে পারে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।পুরো ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার নেমে দাঁড়াল ৪.১ শতাংশে। আগে মনে করা হচ্ছিল এই হার থাকবে ৪.৭ শতাংশে।

আরও পড়ুন: এবার কি লকডাউন ৫.০? স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে বৈঠক মোদী-শাহের

করোনা সংক্রমেণর আগেই দেশের অর্থনীতিতে ঝিমুনি ধরেছিল। একথা গোটা দেশের কাছে অজানা নয়। ‘ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস’ বা জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় জিডিপি-র তথ্য প্রকাশ করে বিবৃতিতে দাবি করেছে, করোনাভাইরাস এবং লকডাউনের প্রভাব পড়েছে জিডিপি বৃদ্ধির হারে।

অটোমোবাইল, উৎপাদন, পরিষেবা থেকে শুরু করে প্রায় সব ক্ষেত্রেই  ঘনিয়ে আসছিল অশনি সঙ্কেত। ফলে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধি আগের বছরের থেকে নেমে দাঁড়ায় ৫.২ শতাংশে। তার পর সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া কোয়ার্টারে বৃদ্ধির হার আরও কমে হয় ৪.৪ এবং ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া তৃতীয় ত্রৈমাসিকে নেমে যায় ৪.১ শতাংশে। আর শেষ ত্রৈমাসিকে সেই হার নেমে গেল প্রায় ৩ শতাংশে।

শুধুমাত্র এই ত্রৈমাসিকের জিডিপি-র হার দেখে করোনাভাইরাসের প্রভাব পুরোটা ব্যাখ্যা করা যাবে না। কারণ দেশে লকডাউন শুরু হয়েছিল ২৫ মার্চ থেকে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত হিসাব করা হয়েছে। ফলে মাত্র এক সপ্তাহের লকডাউন এই হিসেবের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু ৩১ মে পর্যন্ত ধরলে লকডাউন হয়েছে দু’মাস এক সপ্তাহ। সেই মেয়াদ আরও বাড়তে পারে। ফলে করোনাভাইরাস এবং লকডাউন অর্থনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলেছে, তার হিসেব পাওয়া যাবে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে।

আর্থিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার প্রায় নিশ্চিত, পরের ত্রৈমাসিকে আরও নীচে নামবে বৃদ্ধির হার। ব্যাখ্যা করে তাঁরা বলছেন, মাত্র সাত দিনের লকডাউনের জেরেই আর্থিক বৃদ্ধির হার ১ শতাংশ কমে গিয়েছে। ৪.১ থেকে নেমে ৩.১ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু তার পর লকডাউনের জেরে শিল্পের চাকা কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। উৎপাদন, পরিষেবা,  পর্যটন, বিনোদন— সব ক্ষেত্রে বিপুল লোকসানের বোঝা চাপবে। কোটি কোটি পরিযায়ী শ্রমিক কাজ হারিয়ে ঘরে ফিরেছেন। তার উপর মার্চ, এপ্রিল এবং মে— প্রথম ত্রৈমাসিকের তিন মাসই কার্যত লকডাউনের মধ্যে থাকছে দেশ। তার বিরাট ঋণাত্মক প্রভাব অবশ্যই আর্থিক বৃদ্ধিতেও পড়বে।

আরও পড়ুন: ফের ট্রেনের শৌচাগারে পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ, রেলের ভূমিকায় বাড়ছে ক্ষোভ

Gmail 3

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest