চলতি আর্থিক বছরে ভারতের মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) কমবে ১০.৩ শতাংশ। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। সেই নিরিখে দেখা যাচ্ছে, আগামী দিনে ভারতে মাথাপিছু জিডিপি বাংলাদেশের চেয়েও কম হবে। কোনও দেশে বছরে মোট যত মূল্যের পণ্য ও পরিষেবা উৎপাদিত হয়, তাকে সেই দেশের জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে মাথা পিছু জিডিপি পাওয়া যায়। আইএমএফের মতে, করোনা অতিমহামারীর ফলে যে দেশগুলির বাজার সবেচেয়ে বেশি সংকুচিত হবে, ভারত তার অন্যতম।
মঙ্গলবার ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক’ নামে এক রিপোর্ট পেশ করে আইএমএফ। তাতে বলা হয়, ২০২১ সালের ৩১ মার্চ শেষ হওয়া আর্থিক বছরে ভারতের মাথা পিছু জিডিপি কমতে চলেছে ১০.৩ শতাংশ। জুন মাসে আইএমএফ বলেছিল, ভারতের জিডিপি কমবে ৪.৫ শতাংশ। কিন্তু পরে আইএমএফের বিশেষজ্ঞদের মনে হয়েছে, এদেশের মোট জাতীয় উৎপাদন আরও বেশি পরিমাণে কমার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে ভারতে মাথা পিছু জিডিপি দাঁড়াবে ১৮৭৭ ডলার। অর্থাৎ প্রায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকার কিছু বেশি। অন্যদিকে বাংলাদেশের মাথা পিছু জিডিপি চার শতাংশ বেড়ে হবে ১৮৮৮ ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ গড়ে বাংলাদেশিরা বেশি ধনী হবেন ভারতীয়দের থেকে এই বছরের শেষে।
আরও পড়ুন: বাঘকে গোমাংস দেওয়া বন্ধ করুন,গুয়াহাটি চিড়িয়াখানার সামনে গেরুয়া সদস্যদের বিক্ষোভ
এই নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে দোষ দিয়েছেন। টুইটারে শ্লেষ দিয়ে রাহুল পোস্ট করেছেন, যে ছয় বছর ধরে যে ঘৃণা মিশ্রিত সাংস্কৃৃতিক জাতীয়তাবাদের রাজনীতি চালাচ্ছে বিজেপির, তারই দারুন একটি কৃতিত্ব এই ফলাফল। সেই সংক্রান্ত একটি গ্রাফও টুইট করেছেন তিনি।
Solid achievement of 6 years of BJP’s hate-filled cultural nationalism:
Bangladesh set to overtake India.
??? pic.twitter.com/waOdsLNUVg
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) October 14, 2020
আশার কথা হল, ২০২১ সালে ঘুরে দাঁড়াতে পারে ভারতের অর্থনীতি। তখন জিডিপির বিকাশ হতে পারে ৮.৮ শতাংশ। ওই সময় চিনের জিডিপি বাড়বে ৮.২ শতাংশ। অর্থাৎ উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে ভারতের অর্থনীতি বিকশিত হবে সবচেয়ে দ্রুত হারে।
আরও পড়ুন: টানা ৪৩৬ দিন বন্দিদশার অবসান, অবশেষে মুক্ত জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা