আকাশেও চীনকে মোক্ষম টক্কর, মোকাবিলায় আসছে ইজরায়েলি ‘ফ্যালকন’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গতবছর বালাকোটে বিমান হানার সময়েই এর অভাবে বোধ করেছিল ভারত। এবার লাদখে চিনা আগ্রাসন ভাবাচ্ছে ভারতকে। সেকথা মাথায় রেখেই দেশের আকাশসীমায় যে কোনও অনুপ্রবেশে নজরদারি করতে দুটি PHALCON Airborne Warning and Control System(AWACS) রেডার কিনছে ভারত। এগুলি কেনা হবে ইজরায়েল থেকে। খরচ হবে ২০০ কোটি ডলার।

ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে বর্তমানে তিনটি ফ্যালকন রয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর। রাশিয়ার তৈরি সামরিক পরিবহণ বিমানে আইএল-৭৬-এ বসানো এই ইজরায়েলি নজরদারি ব্যবস্থার কাজ হল, ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার জেটগুলিকে নিখুঁত ভাবে ‘লক্ষ্য’ চিহ্নিত করতে সাহায্য করা।

আরও পড়ুন : কেন্দ্রের আর্জিতে পুরীর রথযাত্রায় অনুমতি দিলেও মহরমের শোভাযাত্রা বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট

শত্রুপক্ষের বিমানবাহিনীর তৎপরতার উপর নজরদারির কাজও করতে পারে। বায়ুসেনা তাই একে বলে ‘আকাশের চোখ’। গত বছর পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি শিবিরে হামলাকারী ১২টি মিরাজ-২০০০ ফাইটার জেটকে সফল ভাবে পরিচালনা করেছিল একটি ইজরায়েলি ‘অ্যাওয়াকস’।

পুলওয়ামা হামালার পর পাকিস্তান নিয়মিত ওই রেডার ব্যবহার করতো। কিন্তু ভারতের হাতে এই ধরনের সুবিধে তেমন ছিল না। বর্তমানে লাদাখ সীমান্ত অশান্তি জিইয়ে রেখেছে চিন। ইতিমধ্যেই তারা তিব্বতের মাটিতে একাধিক ফাইটার জেট জড়ো করেছে। নতন একটি রানওয়েও তৈরি করেছে। কিছুদিন আগে মাঝেমধ্যে চিনা কপ্টার ভারতীয় সীমানার গা ঘেঁসে উড়ে আসছিল। এখন লাদাখ নিয়ে চিন-ভারত উত্তেজনা যেভাবে বাড়ছে তাতে এই ধরনের রেডারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ভারতের।

দু’টি ফ্যালকনের পাশাপাশি সিসিএস আরও কিছু প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার ছাড়পত্র দিতে পারে বলে খবর। মোট অঙ্ক হতে পারে প্রায় ২০০ কোটি ডলার (প্রায় ১৪,৭৬৭ কোটি টাকা)। এর মধ্যে ইজরায়েলি নজরদারি ব্যবস্থার জন্য আনুমানিক খরচ ১০০ কোটি ডলারেরও (প্রায় ৭,৩৮৩ কোটি টাকা) বেশি।

লাদাখে এলএসি-তে মোতায়েন ভারতীয় সেনার ব্যাটালিয়নগুলির কম্যান্ডারদের দেওয়ার জন্য ২০০টি ট্যাকটিকাল ড্রোন কেনারও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সিসিএস। এর ফলে চিনা ফৌজের গতিবিধির উপর নজরদারির কাজ অনেক নিখুঁত হবে বলে সেনা সূত্রের দাবি। বেশ কয়েক বছর ধরেই ইজরায়েলে তৈরি ‘হেরন’ সিরিজের নজরদারি ড্রোন ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা। চালকবিহীন এই বিমান ৪৫ হাজার ফুট উঁচুতে উঠে ভূপৃষ্ঠে দৃশ্যমান পুরো অঞ্চলের ছবি স্পষ্ট করে তুলে ধরতে পারে। টানা ৩০ ঘণ্টা উড়ানে সক্ষম এই ড্রোন ঘাঁটি থেকে বহু দূরে গিয়েও নজরদারি চালাতে সক্ষম।

আরও পড়ুন : দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড! একদিনে ভারতে করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৭৬,০০০, মোট মৃত্যু ৬০ হাজার ছাড়াল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest