জম্মু ও কাশ্মীরের আকাশসীমার ঢুকে পড়া পাকিস্তানি ‘কোয়াডকপ্টার’ (চালকবিহীন ড্রোন-হেলিকপ্টার) গুলি করে নামাল ভারতীয় সেনা।শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ কুপওয়াড়ার কেরান সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি)-র অদূরে সেটিকে নামানো হয়। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ‘কোয়াডকপ্টার’টি চিনা কোম্পনি ডিজেআই নির্মিত ‘ম্যাভিক-২ প্রো’ মডেলের।
সেনার অনুমান, নজরদারির উদ্দেশ্যেই কপ্টার-ড্রোনটি পাঠিয়েছিল পাক ফৌজ। সেটি ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করে নীচু দিয়ে উড়ছিল। নিয়ন্ত্রণরেখায় নজরদারি এবং কাশ্মীরে অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহের উদ্দেশ্যে নিয়মিত ড্রোন এবং ‘কোয়াডকপ্টার’ ব্যবহার করে পাক সেনা এবং আইএসআই।
আরও পড়ুন : নেপালের পুরনো মানচিত্র ব্যবহার করে ভারতবাসীকে দশেরার শুভেচ্ছাবার্তা ওলির, শুরু নতুন জল্পনা
জুন মাসে কাঠুয়া সেক্টরের পানেসরে ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকে পড়া ৮ ফুট লম্বা একটি পাক ড্রোন গুলি করে নামিয়েছিল টহলদার বিএসএফ বাহিনী। সেটি থেকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল-সহ প্রচুর গুলি ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল।
সেনাপ্রধান মুকুন্দ নরবনে সম্প্রতি বলেছেন ,পাকিস্তান ভারতের সন্ত্রাসবাদী অনুপ্রবেশ ঘটানোর ঘৃণ্য চক্রান্ত করছে। প্রতিবারই তাদের সেই ঘৃণ্য চক্রান্ত বানচাল করে দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। এদিনও পাক চক্রান্ত ফের বাতিল করে দিল সেনা। তুষারপাতের আগে এদেশে জঙ্গি ঢোকাতে ফের একদফা চেষ্টা পাকিস্তান করবে। তবে ভারতীয় সেনারাও সবদিক থেকে প্রস্তুত।
যে প্রশ্নটা অতি সাধারণ লোকও করছেন, তাহল কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে কী লাভ হল? সমস্যা যা ছিল তা তো একই রয়েছে। জওয়ান মৃত্যু অব্যাহত। আগে কেবল পাকিস্তান ছিল, এখন শত্রু তালিকায় নাম জুড়ছে চীনের। তাহলে কাশ্মীরে ৩৭০ রদ করে মোদী সরকার যে কৃতিত্ব দাবি করছে তা আসলে কী শুধুই রাজনীতি! উত্তর দেবে কে? সোজা উত্তর দিলেই দেশদ্রোহী। সে ঝুঁকি নেবে কে?
আরও পড়ুন : মৃত্যুর পর তাঁর সব সৃষ্টি যেন ধ্বংস করা হয়, উইল করলেন কবির সুমন