করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী কেন্দ্রের আলস্য এবং উদাসীনতা, তোপ IMA’র

ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যর্থতা নিয়ে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেটের সম্পাদকীয়।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের উদাসীনতা এবং আলস্যকে দায়ী করল চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (Indian Medical Association)। তাদের দাবি, কেন্দ্র তাদের কোনও পরামর্শই মানছে না। বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং গবেষকদের পরামর্শ স্রেফ ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাফ কথা, এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে একমাত্র সুপরিকল্পিত সার্বিক লকডাউন। নাইট কারফিউ বা বিক্ষিপ্ত লকডাউন উপযোগী নয়।

রবিবার IMA’র পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমাদের তরফে অনেক আগেই দেশজুড়ে লকডাউন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতাল এবং অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্রগুলো যাতে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে পারে তার জন্য পূর্ব-ঘোষিত লকডাউন জরুরি ছিল। করোনার (CoronaVirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে যে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উদাসীন মনোভাব এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে আলস্য দেখে দেখে আমরা স্তম্ভিত।’ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, তাদের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও লকডাউন করেনি কেন্দ্র, আর আজ প্রতিদিন নতুন করে ৪ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। এর মধ্যে মাঝারি থেকে খারাপ অবস্থার রোগীর হার অন্তত ৪০ শতাংশ। আলাদা আলাদা করে বিক্ষিপ্ত লকডাউন (Lock Down) বা নাইট কারফিউ কোনও কাজে লাগেনি। অর্থনীতি ঠিক রাখার থেকে মানুষের প্রাণ বাঁচানো জরুরি। আইএমএর সাফ দাবি, কেন্দ্রের উচিত এখনই হাতে সময় নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে লকডাউন করা।

এর আগেও করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছিল IMA। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) কাঠগড়ায় তুলেছিলেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. নভজ্যোত দাহিয়া (Navjot Dahiya)। মোদীকে ‘সুপার স্প্রেডার’ বলে আক্রমণ করে তিনি বলেছিলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রীই।

আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণে ফের নয়া রেকর্ড, একদিনেই আক্রান্ত ৪ লক্ষ ১৪ হাজার, মৃত ৩৯১৫

সংবাদমাধ্যমে নভজ্যোত দাহিয়া বলেছিলেন, ‘করোনায় সুরক্ষাবিধি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করতে যখন ঝাঁপিয়ে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য মহল, তখন কোনওরকম দ্বিধা না করেই সমস্ত কোভিড বিধি ভেঙে রাজনৈতিক সমাবেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’ তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদের কৃষকদের আন্দোলন ইস্যুতেও প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বশীল মনোভাব দেখাননি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। দেশজুড়ে অক্সিজেন সংকটের পিছনেও কেন্দ্রের ব্যর্থতাকেই কাঠগড়ায় তুলেছে চিকিৎসকদের সংগঠনটি। তাদের দাবি, দেশে অক্সিজেনের সংকট নেই। শুধু সঠিকভাবে তা বিতরণ করতে পারছে না কেন্দ্র। যে কারণে এই সংকট।

ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যর্থতা নিয়ে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেটের সম্পাদকীয়। তাদের অভিযোগ, এই বিপর্যয়ের সময় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সমালোচনা দমন নিয়ে যেভাবে উদ্যোগী ছিলেন, তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। প্রখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ হয় যাতে মোদী সরকারকে তোপ দেগে লেখা হয়, করোনা আবহে সংক্রমণ ঠেকানোর থেকে টুইট মুছতে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে মোদী সরকার। পাশাপাশি মোদী সরকারের এই মনোভাব ‘ক্ষমাযোগ্য নয়’ বলেও উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন: মোদীর ব্যর্থতা ক্ষমার অযোগ্য, কঠোর সম্পাদকীয় ল্যানসেটে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest