কলকাতা: সোমবার হাওড়া ও শিয়ালদা থেকে শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল। আটটি জায়গায় উদ্দেশ্যে রওনা দেবে ট্রেন। লকডাউনের আগে অর্থাত্ পূর্বের সময়সূচি মেনেই ট্রেন চলবে। যোধপুর, দিল্লি, যশবন্তপুর, উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা ট্রেন চলাচল শুরু হবে। যাত্রীদের মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নতুন নিয়ম।
লকডাউন পর্বের ৩০ দিনের অগ্রিম টিকিট কাটার সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। এবার লকডাউনের আগের মতোই, ১২০ দিন আগে থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে। বিশেষ রাজধানী ট্রেনের জন্য প্রথমে সাত দিন, তারপর তিরিশ দিন করা হয়েছিল অগ্রিম বুকিংয়ের সময়কাল। এবার সেটা বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হল। রেল জানিয়েছে পার্সেল ও লাগেজও বুক করা যাবে এই ২৩০টি ট্রেনের জন্য। মে ৩১ সকাল আটটা থেকে নয়া নিয়মে টিকিট কাটা যাবে। একই সঙ্গে চলতি বুকিং, তৎকাল পরিষেবা ইত্যাদি ফের চালু করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Mann Ki Baat: পরিযায়ী শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশায় ‘ব্যথিত’ মোদী, জানালেন একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে…
এ ছাড়া কারেন্ট বুকিং, মধ্যবর্তী স্টেশন থেকে তৎকাল কোটায় আসন সংরক্ষণের সুবিধা আগের মতোই চালু হচ্ছে। নতুন ব্যবস্থায় স্টেশন ও ট্রেনের কামরায় প্রবেশ ও প্রস্থানের পথে যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। প্রত্যেক যাত্রীর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে রেল।
যে সব যাত্রীর মধ্যে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নেই, শুধুমাত্র তাঁদেরই রেলভ্রমণ করার অনুমতি দেওয়া হবে। ট্রেনযাত্রার সব সময় সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে। আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার আবশ্যিক ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল।
ট্রেনে আগের মতোই খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। আগের মতোই ট্রেনে প্যান্ট্রিকার থাকবে
পাওয়া যাবে মিলও। তবে মিলের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্যাকেট করা স্ন্যাক্স আইটেমের পাশাপাশি প্যাকেট করা বিরিয়ানি, পোহা, খিঁচুড়ি থাকবে। সব প্যাকেটই থাকবে ‘রেডি টু ইট’।
এই সব খাবারের প্যাকেট অবশ্যই আগে গরম জলে ডুবিয়ে নিতে হবে। বাচ্চাদের জন্য থাকছে দুধের ব্যবস্থাও। এই ট্রেনগুলি যেসব প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াবে, সেখানে স্টল খোলা থাকবে। স্টলেও অবশ্যভাবে প্যাকেট করা খাবার ও জল পাওয়া যাবে।