করোনা সংক্রমণের প্রভাবে সরকারের আয় উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে, মহামারী নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বাড়ছে খরচের বহর। আর এই জোড়া ফলায় কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক ঘাটতি ক্রমশ বাড়ছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে রাজকোষে ঘাটতির পরিমাণ ৬ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
পুরো ২০২০-২১ আর্থিক বছরের জন্য সরকারের যে আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল প্রথম তিন মাসেই (এপ্রিল-জুন) তার ৮৩.২ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে, যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড।
চলতি আর্থিক বছরে রাজকোষে ঘাটতির পরিমাণ GDP-র সাড়ে ৩ শতাংশের মধ্যে বেঁধে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। যদিও বহু অর্থনীতিবিদদের মতে, করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষে এই টার্গেট পূরণ করা কার্যত অসম্ভব। তাঁদের মতে, এই বছর কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ GDP-র ৭.৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুসারে, চলতি বছর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫.১ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। তবে পরিস্থিতি খুব খারাপ হলে তা আরও চওড়া হয়ে ৯.১ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে তারা। আর রয়টার্সের এই আশঙ্কার কথা মিলে গেলে ১৯৭৯ সালের পরে আর কখনও ভারতীয় অর্থনীতিকে এতটা প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের জেরে সরকারের আয় দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিলগ্নিকরণে মাধ্যমে যে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল তাও বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। আয় বাড়তে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রির ক্ষেত্রে ফের ময়দানে ঝাঁপাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপি বিরোধীরা বলছেন , মোদী বাবুর এখন ওসব ভাবার সময় কোথায় ? এখন রামমন্দিরের ভীত পুজো নিয়ে ভাবতে হচ্ছে তাকে। আস্থা নির্ভর সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অনেকে মোদির জয় বলে মনে করেন। মোদী বড়বাড়ি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ওপর জোর দিতেন। তখন অবশ্য বোঝা দেশের সর্বোচ্চ আদালতও তথ্য প্রমাণের গুরুত্ব লঘু করে আস্থার আশ্রয় নেবে। কেউ ভাবেনি এত দ্রুত অযোধ্যা রায় দেওয়া তৎকালীন প্রধান বিচারপতিকে রাজ্যসভায় নিয়ে আসবে বিজেপি।
আরও পড়ুন : Shakuntala Devi review: আরো একবার অভিনয়ে ঝড় তুললেন বিদ্যা, কিন্তু খামতি রয়ে গেল গল্পে, দেখুন ভিডিও