২০১২ সালের অক্টোবর মাসের পর আবার চলতি বছরে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাইকারি মূল্য সূচকে।দেশের পাইকারি মূল্য সূচক ( WPI) সর্বোচ্চ বিগত ৮ বছরে। চলতি বছর মার্চ মাসের পাইকারি মূল্যসূচক ৭.৩৯%। গত বছর মার্চে তা ছিল ০.৪২ শতাংশ।
এই পরিসংখ্যান উল্লেখ করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রক। ওই রিপোর্টে প্রকাশ,ফেব্রুয়ারিতে পাইকারি মূল্য সূচক ছিল ৪.১৭% এবং জানুয়ারিতে ছিল ২.৫১ শতাংশ। জানুয়ারি ২০২০ তে পাইকারি মূল্য সূচক ছিল ২.০৩%। এই অস্বাভাবিক মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়বে পাইকারি বাজারে, ফলত শাক সবজি সহ অন্যান্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হবে আকাশ ছোঁয়া, সমস্যায় পড়বেন দেশের সাধারণ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ।
আরও পড়ুন: বাজারে অমিল রেমিডেসিভির, বিনামূল্যে বিতরণ হচ্ছে বিজেপি কার্যালয় থেকে!
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, পাইকারি বাজারে এ ভাবে পণ্যের দাম বাড়লে খুচরো বাজারেও তার প্রভাব পড়বে। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের চিন্তার কারণ রয়েই যাচ্ছে। বিশেষত এর অন্যতম কারণ যেখানে বিশ্ব বাজারের চড়া অশোধিত তেল এবং দেশের বাজারের আগুন পেট্রল, ডিজেল। তাঁদের মতে, জ্বালানির খরচ বাড়ায় উৎপাদন এবং পরিবহণ খরচ ইতিমধ্যেই অনেক চড়েছে। তার উপর ফের করোনার সংক্রমণ বাড়ায় মহারাষ্ট্র-সহ বেশ কিছু রাজ্যে স্থানীয় লকডাউন করতে হচ্ছে। এই বিধিনিষেধের জেরে গত বছর অতিমারির প্রথম দফার মতো এ বারেও জোগান-শৃঙ্খল ধাক্কা খেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পাইকারি এবং খুচরো, দুই বাজারেই মূল্যবৃদ্ধির হার আরও বাড়ার আশঙ্কা।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনার প্রতিষেধক বাজারে আসার পরে চাহিদা বাড়ায় ধাতু, বস্ত্র, রাসায়নিক, রাবারের মতো পণ্যের দাম বেড়েছে বিশ্ব বাজারে। দেশের পাইকারি বাজারে তারই প্রভাব স্পষ্ট। তবে ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম কমায় আমদানির খরচ বৃদ্ধির চাপও পড়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, আগামী দু’মাসে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছতে পারে ১১-১১.৫ শতাংশে।
আরও পড়ুন: মিলছে না মৃতের সংখ্যা, ২৪ ঘন্টা জ্বলন্ত চিতার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শ্মশান ঢাকল যোগীরাজ্য