বৃহস্পতিবার একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর। তাতে দাবি করা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারদের পেনশন কাটছাঁটের পরিকল্পনা করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেদিন থেকেই বিষয়টি নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে ঘি ঢাললেন রাওয়াত।
প্রকাশিত খবরের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ডিপার্টমেন্ট অব মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স’ (ডিএমএ)-র একটি চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে সই করেছেন ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ জেনারেল বিপিন রাওয়তের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপ-উপদেষ্টা। ওই চিঠিতে মেয়াদ শেষের আগে অবসর নেওয়া সেনা আধিকারিকদের পেনশন ছাঁটাইয়ের বিষয়ে কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : ভাঙল ওবামার রেকর্ড, মার্কিন ইতিহাসে সর্বাধিক ভোট পেয়ে ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়ার পথে বাইডেন
২৯ অক্টোবরের ওই চিঠির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ২০-২৫ বছর চাকরি করে যে সব সেনা আধিকারিক অবসর নিয়েছেন তাঁরা প্রাপ্য পেনশনের ৫০ শতাংশ পাবেন। ২৬-৩০ বছরের কর্মজীবন শেষে অবসর নেওয়া সেনা আধিকারিকরা পাবেন পেনশনের ৬০ শতাংশ। ৩১-৩৫ বছর সেনায় থাকলে পেনশনের ৭৫ শতাংশ এবং ৩৫ বছরের বেশি সময় কাজ করলে পুরো পেনশন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে।
বলা হয়েছে ১০ নভেম্বরের মধ্যে এ সংক্রান্ত সরকারি প্রক্রিয়া চালুর অনুমোদন দেওয়ার কথাও। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সেনা অফিসার কিংবা নিহতদের পরিবারের পেনশনের ক্ষেত্রে পুরনো নিয়মের কোনও পরিবর্তন না করার প্রস্তাব রয়েছে ওই চিঠিতে।
এ ছাড়া সেনা অফিসারদের বিভিন্ন পদে অবসরের বয়ঃসীমা বাড়ানোর প্রস্তাবও রয়েছে চিঠিতে। কর্নেল পদের ক্ষেত্রে অবসরের বয়স ৫৪ থেকে বাড়িয়ে ৫৭। ব্রিগেডিয়ারের ক্ষেত্রে ৫৬ থেকে বাড়িয়ে ৫৮ এবং মেজর জেনারেল পদের ক্ষেত্রে বর্তমান ৫৮ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ করার কথা বলা হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি, দিল্লিতে সেনা কমান্ডারদের সাম্প্রতিক বৈঠকে জেনারেল স্বয়ং এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
মোদী ও মোদির দলই সেনাকে রাজনীতির প্রচারে কাজে লাগিয়েছে। বারবার সেনার কথা আওড়ে তারা একটা ‘উগ্র দেশপ্রেম’ জাগানোর চেষ্টা করেছে। যে দেশপ্রেমকে হিন্দুদের সঙ্গে গেঁথে রাজনীতি করা যায়। তাতে মোদির দল সফলও হয়েছে। কিন্তু রাহুল গান্ধী বহুদিন ধরেই বলে আসছিলেন যে মোদী সরকার সেনাদের জন কিছু করেনি । তারা করবেন না। কেবল সেনাকে নিজেদের রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করা ছাড়া। অবসর নিয়ে নয়া নীতির কথা শুনে বহু সেনা পরিবার আতঙ্কিত। তাদের কারও কারও অভিযোগ আসলে মোদী সরকার সবটাইয়া রাওয়াতকে সামনে রেখে করবে। সেকারণে তাই সিডিএস করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের জেরে আকাশ ছোঁয়া দাম আলু–পেঁয়াজের, নাজেহাল বাংলা