মঙ্গলবার শাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠী জানিয়ে দিল টাটা সন্সের সঙ্গে তাঁদের সাত দশকের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সময় ঘনিয়েছে। এবার বিচ্ছেদ না হলে আরও তিক্ততা তৈরি হতে পারে।টাটা সন্সে শাপুরজি পালনজি গ্রুপের ১৮.৪ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে। সেই পরিমাণ শেয়ার দুটি বিনিয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে ধরে রেখেছে মিস্ত্রী পরিবার। হতে পারে সেই অংশীদারিত্ব এবার বিক্রি করে দেবেন তাঁরা।
কোম্পানির তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শাপুরজি পালনজি এবং টাটার সম্পর্ক ৭০ বছরের পুরনো। পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস ও বন্ধুত্বের কারণেই তা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু আজ শাপুরজি পালনজি গ্রুপ সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দিয়েছে, টাটার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। নইলে এই যে অনন্ত মামলা মোকদ্দমা শুরু হয়েছে তা জীবিকা ও অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।”
আরও পড়ুন : পাঁচ বছরে মোদি সফর করেছেন ৫৮ দেশ, খরচ ৫১৭ কোটি, সংসদে জানাল কেন্দ্র
টাটা ও মিস্ত্রী পরিবারের মধ্যে আইনি লড়াই শুরু হয়েছিল চার বছর আগে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ। কারণ অক্টোবর মাসে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাইরাস মিস্ত্রীকে।
শাপুরজি পালনজি গোষ্ঠীর বক্তব্য, মিস্ত্রীকে বোর্ড চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর পর থেকে টাটা সন্স যেন নিজেরাই নিজেদের ব্যবসা নষ্ট করতে বসেছে। আগেই বোঝা গিয়েছিল যে টাটা স্টিলের বিলেতের কারখানার জন্য ক্ষতি হচ্ছে। ওই এক কারখানার জন্য গত তিন বছরে অতিরিক্ত ১১ হাজার কোটি টাকা অপারেশনাল লস তথা ক্ষতি হয়েছে। বিমান পরিষেবার ব্যবসার জন্যও ক্ষতি কম হয়নি।
শাপুরজির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই সব কাজকর্মের জন্য গত তিন বছরে টাটা গোষ্ঠীভূক্ত কোম্পানিগুলির ঋণের বহর দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা। একমাত্র টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস ছাড়া গত ত্রৈমাসিকে গ্রুপ কোম্পানিগুলির ১৪ হাজার কোটি ক্ষতি হয়েছে। এটা উদ্বেগের বইকি। দুর্ভাগ্যবশত এ জন্য ছোট শেয়ারহোল্ডারদের বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।”
টাটা সন্সে মিস্ত্রী পরিবারের যে শেয়ার রয়েছে তার মূল্যে তারা বাজার থেকে টাকা তুলতে চাইছিল। তাতে আপত্তি জানিয়ে আদালতে গিয়েছিল টাটা সন্স। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর অর্থাৎ পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত এ ধরনের কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না শাপুরজি পালনজি।
আরও পড়ুন : মোদী জমানায় গত তিন বছরে সীমান্তে দ্বিগুণ শক্তি বাড়িয়েছে চিন, বলছে রিপোর্ট