১৪ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে বরখাস্ত করলেন স্পিকার, কর্নাটকে স্বস্তিতে বিজেপি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#বেঙ্গালুরু: ইয়েদুরাপ্পা সরকারের আস্থা ভোটের আগেই নতুন নাটক কর্ণাটকে। কংগ্রেসের ১১ এবং জেডিএসের ৩ জন মিলিয়ে মোট ১৪ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে বরখাস্ত করলেন স্পিকার কে আর রমেশ কুমার। এর ফলে আস্থা ভোটের ঠিক আগের দিন কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। এই ১৪ জন মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১৭ জন বিধায়ককে বরখাস্ত করা হল। এর ফলে কর্ণাটকের মোট বিধায়কসংখ্যা কমে দাঁড়াল ২০৮। এবং ম্যাজিক ফিগার কমে দাঁড়াল ১০৫-এ। বিজেপির কাছে এই মুহূর্তে ১০৫ জন বিধায়কই রয়েছেন। সেই সঙ্গে রয়েছে দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন।

এই ১৪ জন বিধায়ক বিধানসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই সংকটে পড়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার। কিন্তু, সেসময় তাদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি স্পিকার। আস্থা ভোটের সময় এদের বিধানসভায় উপস্থিত থাকার জন্য হুইপ জারি করে কংগ্রেস এবং জেডিএস। কিন্তু, কেউই উপস্থিত হননি। ফলে, কুমারস্বামীর সরকারের পতন ঘটে। নিশ্চিতভাবেই এরা বিজেপির দিকে ঝুঁকে ছিলেন। সোমবারের আস্থা ভোটে অনেকেই বিজেপিকে ভোট দিতেন। কিন্তু, তাঁর আগেই স্পিকার রমেশ কুমার জানিয়ে দিলেন, এদের সকলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিধায়করা সশরীরে স্পিকারের সামনে হাজির হওয়ার জন্য যে সময়সীমা চেয়েছেন তা তাঁদের দেওয়া সম্ভব নয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই বিধায়করা চলতি বিধানসভার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আর নির্বাচনেও লড়তে পারবেন না। যদিও, স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে বিধায়কদের।

পাঁচদিন হয়ে গেল ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে কংগ্রেস এবং জেডিএস জোট। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু সরকার বদল হলেও এখনও স্পিকারের পদে ইস্তফা দেননি কে আর রমেশকুমার। রমেশকুমার স্বেচ্ছায় ইস্তফা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে বলে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সাধারণত শাসক দলেরই কোনও বিধায়ক স্পিকার পদে নির্বাচিত হন। বিজেপি-র বক্তব্য, স্পিকার নিজে না পদ ছাড়লে, তারা প্রক্রিয়া শুরু করবে। আগামী কাল আস্থা ভোট নিতে হবে ইয়েদুরাপ্পাকে। এখন স্পিকারের ভূমিকাও সন্দেহের ঊর্দ্ধে নয় বলেই মনে করছেন অনেকে।কর্নাটকে নতুন করে সরকার তৈরি হলে নতুন স্পিকার মনোনীত হবেন। ততদিন পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন রমেশই। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘‘আমি আমার কর্তব্য পালন করে যাব। ’’

গোটা পরিস্থিতি নিয়ে এ দিনই বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপি। দলীয় বিধায়কদের সূত্রে খবর, আস্থাভোট জয়কেই এখন পাখির চোখ করেছেন ইয়েদুরাপ্পা। নতুন স্পিকার আসার আগে অর্থবিল পাস করিয়ে নেওয়াই তাঁর লক্ষ্য। কারণ, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সে রাজ্যে অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ পাশ করাতে হবে। এই সময়ের মধ্যে নতুন সরকার গড়া না গেলে রাষ্ট্রপতি শাসনও জারি হতে পারে।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest