দেশের সর্বকনিষ্ঠা পাইলট হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখালেন কাশ্মীরের আয়েষা আজিজ

তাঁর কথায়, ”কাশ্মীরের মেয়েরা খুবই উন্নতি করেছে। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে। হয় স্নাতকোত্তর নয়তো গবেষণা করছে তারা।”
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

২০১১ সালে দেশের সর্বকনিষ্ঠ পড়ুয়া পাইলট হয়ে নজির গড়েছিলেন তিনি। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই ১৫ বছর বয়সে পেয়েছিলেন বিমান ওড়ানোর লাইসেন্স। কাশ্মীরের (Kashmir) সেই কিশোরী এখন তরুণী। এবার দেশের সর্বকনিষ্ঠ মহিলা পাইলট (Youngest female pilot) হয়ে তিনিই গড়লেন নয়া নজির। ২৫ বছরের আয়েষা আজিজ (Ayesha Aziz) হয়ে উঠেছেন গোটা দেশের মেয়েদের অনুপ্রেরণা।

২০১১ সালে আয়েষা রাশিয়ায় গিয়ে মিগ-২৯ বিমান চালানো শেখার প্রশিক্ষণ নেন। পরবর্তী সময়ে বম্বে ফ্লাইং ক্লাব থেকে তিনি পাইলট হিসেবে স্নাতক হন। ২০১৭ সালে মেলে বাণিজ্যিক লাইসেন্স। অবশেষে স্বপ্নপূরণ। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে নিজের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে আয়েষা জানিয়েছেন, চ্যালেঞ্জটা খুব সহজ ছিল না মোটেই। আর সেটাই তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছে। রোজকার ৯টা-৫টার চাকরির একঘেয়েমি তাঁর নাপসন্দ ছিল শুরু থেকেই।

চেয়েছিলেন এমন কাজ, যেখানে পদে পদে নতুন চ্যালেঞ্জকে সঙ্গে করেই এগতে হয়। তাই খুব ছোটবেলা থেকেই ভেবে নিয়েছিলেন আকাশে ওড়াই হবে তাঁর চাকরি। আয়েষা জানাচ্ছেন, ”এই পেশায় মানসিক অবস্থা খুবই মজবুত হতে হয়। কেননা ২০০ জন যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়াটা খুব বড় একটা দায়িত্ব।”

আরও পড়ুন: অর্থনীতির ‘সাড়ে বারোটা’! বাজেট ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় দেশ, লাল সালু মোড়া ট্যাব হাতে নির্মলা

তাঁর কথায়, ‘খুব ছোটবেলা থেকে ভ্রমণের প্রতি আকর্ষণ এবং বিমানসফরের উত্তেজনাই আমাকে এই পেশা বেছে নিতে সাহায্য করেছে।এত মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়। এই কারণেই বিমানচালক হতে চেয়েছিলাম। এই কাজের কোনও বাঁধাধরা গতিপথ নেই এবং সর্বদা নতুন জায়গা, রকমারি আবহাওয়া আর নতুন মানুষদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়।’

পেশাগত সাফল্যের জন্য তিনি নিজের বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ, জানিয়েছেন আয়েশা। তাঁদের অনুপ্রেরণাতেই নিজের স্বপ্ন সফল করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন কাশ্মীর-কন্যা। সর্বদা ব্যক্তিগত ও পেশাদার ক্ষেত্রে সাফল্যকামী আয়েশা বলেন, ছোট থেকে বাবাকেই রোল মডেল হিসেবে দেখেছেন।

কেবল নিজের কথাই নয়, তিনি টেনে এনেছেন তাঁর প্রদেশের মেয়েদের প্রসঙ্গও। তাঁর কথায়, ”কাশ্মীরের মেয়েরা খুবই উন্নতি করেছে। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে। হয় স্নাতকোত্তর নয়তো গবেষণা করছে তারা।” সব মিলিয়ে কাশ্মীরের মেয়েদের প্রসঙ্গে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত তিনি।

আরও পড়ুন: দেশ জুড়ে ভিনধর্মে বিয়ে বিরোধী আইন চালুর কোনও পরিকল্পনা নেই, জানাল কেন্দ্র

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest