একনাগাড়ে অতি প্রবল বর্ষণের জেরে ভয়ঙ্কর ধস নামল কেরলের ইদ্দুকি জেলার রাজামালায়। শুক্রবার সকালের ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১৩। সরকারি সূত্রের খবর, ধসে চাপা পড়ে রয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি চা-শ্রমিক। আপাতত ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র মুন্নারের কাছে এই এলাকা। ইডুক্কির কালেক্টার বলেন মারাত্মক কুয়াশা ও বৃষ্টির জন্য উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটছে। একজন যে বরাতজোরে রক্ষা পেয়েছে, সে সকালে গিয়ে স্থানীয় এরাভিকুলাম জাতীয় পার্কে রক্ষীদের গিয়ে এই ধসের কথা জানান। রাজস্ব মন্ত্রী ই চন্দ্রশেখরন জানান যে এনডিআরএফ-এর একটি দল দুর্ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছে। যারা আটকে পড়েছে তাদের রক্ষা করতে বিমানবাহিনীর সাহায্য চাইছে রাজ্য সরকার। কিন্তু আপাতত খারাপ আবহাওয়ার জন্য সেটা সম্ভব না।
আরও পড়ুন: মোদীময় ! CAG-এ গিরিশ চন্দ্র মুর্মু,জম্মু ও কাশ্মীরের নয়া লেফটেন্যান্ট মনোজ সিনহা
যেখানে ধস নেমেছে সেটি পাহাড়ি এলাকা। ধারেকাছের অনেক রাস্তা বৃষ্টিতে ধুয়েমুছে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রশেখরন। ভোররাতে ধস নামায় অনেকে ঘুমাচ্ছিলেন। তাই কোনও ভাবেই তারা পালানোর পথ পাননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গত তিনদিন ধরে বৃষ্টি পড়ায় ওখানে ইলেকট্রিসিটি নেই। ফলে কার্যত সভ্যতা থেকে বিচ্ছিন্ন রাজামালা। প্রবল বর্ষণে সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি ও ধসের ঘটনার জন্য কেরলের কেরলের এর্নাকুলাম, ত্রিচূড়, পালাক্কাড়, কোজিকোড়, কান্নুর ও কাসারগড় জেলাগুলির জন্য ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর।
কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধসে চাপা প়ড়া শ্রমিকদের বের করে আনার পর তাঁদের দ্রুত চিকিৎসা ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাছের এর্নাকুলাম ও কোট্টায়াম জেলা থেকে ইতিমধ্যেই দু’টি চিকিৎসকদল এবং ১৫টি অ্যাম্বুল্যান্স রাজামালায় পাঠানো হয়েছে।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, ‘‘ধসে চাপা পড়া চা-শ্রমিকদের উদ্ধারে জাতীয় বিপর্যয় মোকবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) একটি দলকে রাজামালার ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ, দমকলকর্মী, বনকর্মী ও রাজস্ব কর্মীদেরও উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ এনডিআরএফ-এর আর একটি দলকে ত্রিচূড়ে তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে ওই দলটিও পৌঁছে যাবে রাজামালার ঘটনাস্থলে।
আরও পড়ুন: মুনাফার জন্য ‘করোনিল’ নিয়ে ভুয়ো দাবি, ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা পতঞ্জলির