তোপসিয়ার বামনপাড়ায় এক যুবকের রহস্যজনক খুন!ঘটনাটি ঘটেছে ভোররাতে।চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। বছর তিরিশের নির্বিবাদী যুবক অভিজিৎ রজক স্থানীয় একটি হোটেলে কাজ করতেন। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, সাদাসিধে ছেলেটির কোনও শত্রু থাকারই কথা নয়। কিন্তু বাড়ির মধ্যেই নৃশংসভাবে খুন হতে হল অভিজিৎকে ! উঠে আসছে নানা প্রশ্ন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তোপসিয়া থানার পুলিস। দেহটিকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
মঙ্গলবার ভোর রাত। অভিজিতের কাকিমা মৌসুমি রজক ঘুম থেকে উঠে দেখেন, বাড়ির সদর দরজা খোলা। সামনে থাকা দু-দুটো সাইকেলও উধাও। স্বামীকে ডেকে তুলে ঘটনাটি জানান তিনি। পাশের ঘরেই চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে ছিলেন অভিজিৎ। তাঁকে অনেক ডাকাডাকি করা হলেও কিন্তু কোনও সাড়া পাওয়া যায় না। চাদর সরাতেই দেখা যায় অভিজিতের রক্তাক্ত মাথা। গভীর আঘাতের চিহ্ন।
আরও পড়ুন : সমস্ত অভিযোগ বেআইনি, ডাক্তার কাফিল খানকে মুক্তি নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট
সোমবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ পরিবারের সদস্যরা ওই যুবককে শেষবার দেখেছিলেন। এরপর মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ পরিবারের সদস্যরা দেখেন বাড়ির মূল দরজার তালা ভাঙা। উধাও দুটি সাইকেল। ছুটে যান অভিজিতের কাছে। তখন তাঁরা দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন ওই যুবক। সারা ঘর, বিছানায় কার্যত রক্তের বন্যা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া পুলিশে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় তপসিয়া থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন ডেপুটি কমিশনার দেবস্মিতা দাশ।
কীভাবে মৃত্যু হল অভিজিতের? প্রাথমিকভাবে অনুমান, খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। কিন্তু কেন? ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি অন্য কোনও কারণে এই নির্মম পরিণতি হল ওই যুবকের, তা জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে যেহেতু সাইকেল চুরি গেছে, সেই কারণে তদন্তকারীরা মনে করছেন, হয়তো সাইকেল চুরির সময় অভিযুক্তদের দেখে ফেলেছিলেন অভিজিৎ। সেই কারণেই কী এই পরণিত।
আরও পড়ুন : হাসপাতাল থেকে বেরোল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির মরদেহ, কোভিড প্রটোকল মেনে দুপুর ২টোয় শেষকৃত্য