লাদাখকে ভারতের অংশ বলে মনেই করে না চিন। মঙ্গলবার এমনই প্ররোচনামূলক মন্তব্য করলেন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন। তাঁর কথায়, “বেআইনিভাবে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করেছে ভারত। একে মান্যতা দেয় না চিন।” পূর্ব লাদাখে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বেজিংয়ের এ ধরনের মন্তব্য দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এতদিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ঠিক নেই বলে সুর চড়াচ্ছিল বেজিং। এবার লাদাখ যে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তা মানতেই অস্বীকার করল চিন।চিনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস-এ দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন মন্তব্য করেছেন, বেআইনি ভাবে লাদাখ-কে নিজেদের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করেছে ভারত।
আরও পড়ুন : করোনার পর ‘ক্যাট কিউ’! নয়া চিনা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করল ICMR
China does not recognize the so-called Union Territory of Ladakh illegally established by India, and opposes infrastructure construction in disputed border areas for military control purposes, FM spokesperson Wang Wenbin said in response to India building roads along the border. pic.twitter.com/z4SIRkJzAB
— Global Times (@globaltimesnews) September 29, 2020
গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, “ভারত-চিন দু’পক্ষই আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করেছে, পরিস্থিতিতে আরও জটিল করতে পারে, সীমান্ত এলাকায় এমন কোনও পদক্ষেপ কেউ করবে না।” চিনের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
২০১৯ সাল পর্যন্ত লাদাখ জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের একটি অংশ ছিল। ওই বছর আগস্টে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করে কেন্দ্র। সেই সময় কাশ্মীর ও লাদাখকে জুড়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে মোদি সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আসলে ঘুরিয়ে ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধিতা করল। যেটা এতদিন চিনের ‘পরম বন্ধু’ পাকিস্তান করে আসছিল। এবার কার্যত সেই সুরেই সুর মেলাল চিনও।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন গালওয়ানকে ঘিরে গোলমালের সময়ে একটু একটু করে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করছিল চিনা সেনা। তা বাধা দিতে গেলে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে যায়। চিনা সেনার সঙ্গে হাতাহাতি সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ ভারতীয় জওয়ান। শুধু তাই নয়, গালওয়ান উপত্যকায় নির্মাণও শুরু করে দিয়েছিল চিনা সেনা।
আরও পড়ুন : অবশেষে কাল বাবরি মসজিদ মামলার রায়, নাও হাজিরা দিতে পারেন আডবানি-যোশীরা!