কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের প্রশ্ন ছিল এটাই। চিনা সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করেছে কিনা।গত ৬ মাসের মধ্যে চিন সীমান্ত দিয়ে একজনও ভারতে অনুপ্রবেশ (Chinese infiltration ) করেনি। সংসদে এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই একথা জানিয়েছেন। অর্থাৎ কেন্দ্র স্পষ্ট করে দিল, চিন সীমান্ত দিয়ে লুকিয়ে কেউ ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে না। তবে তার মানে এই নয় যে, চিনা সেনা ভারতের বিরুদ্ধে আগ্রাসন দেখায়নি বা ভারতের জমি দখলের চেষ্টা করেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলছে, অনুপ্রবেশ আর আগ্রাসন এক নয়।
আরও পড়ুন : বাবরি ধ্বংস মামলার রায় ৩০ সেপ্টেম্বর, স্নায়ুর চাপে আডবানি সহ সেই বিজেপি নেতারা
গত ১৫ জুন গালওয়ানে ২০ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হওয়ার পর সরকারকে এনিয়েই চেপে ধরেন রাহুল গান্ধী সহ বিরোধীরা।মঙ্গলবার লোকসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা তৈরি হয়েছে ভারত-চিন সমঝোতার ভিত্তিতে। সেই রেখা মানতে চাইছে না চিন। তাই এত অশান্তি।’ এদিকে, গত কয়েক মাস ধরে কখনও চুশুলে, কখনও প্যাংগং লেকের দক্ষিণে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছে লাল ফৌজ। তাহলে কি এলএসি পার করার চেষ্টা করেনি চিন? প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনিল আগরওয়াল।
অনিল আগরওয়ালের প্রশ্ন ছিল, গত ৬ মাসে পাকিস্তান ও চিন থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়েছে? সরকার এক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নিয়েছে? ওই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, ‘বেশিরভাগ অনুপ্রবেশের চেষ্টা পাকিস্তান থেকে হয়েছে এপ্রিল মাসে। কিন্তু ভারত-চিন সীমান্তে গত ৬ মাসে কোনও অনুপ্রবেশ ঘটেনি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক স্পষ্ট করে দিয়েছে, অনুপ্রবেশ আর আগ্রাসনের মধ্যে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। অর্থাৎ গত ৬ মাসে চিন সীমান্তে অনুপ্রবেশ হয়নি, সেটা স্পষ্ট বললেও, চিনারা যে ভারতের জমি দখল করেনি, সেটা স্পষ্ট করে বলছে না কেন্দ্র। আর সেখানেই প্রশ্ন বিরোধীদের। উল্লেখ্য, বিরোধী শিবির ইতিমধ্যেই সংসদে লাদাখ নিয়ে আলোচনা চেয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র তাতে রাজি হয়নি।
আরও পড়ুন : সামনে এল আরও বড় ঘটনা! মস্কো বৈঠকের আগে ১০০-২০০ রাউন্ড গুলি চলেছিল প্যাংগংয়ে