ব্রজ-বরসানায় শুরু রঙের উৎসব, জানুন কোন দিন কোন হোলি, কবে খেলা হবে লঠমার হোলি

২২ তারিখ বরসানায় লাড্ডু হোলি খেলা হবে। এদিন রাধারানির গ্রাম বরসানায় ফাগ (ফাল্গুন) আমন্ত্রণের উৎসব হবে। তার পর লাড্ডু দিয়ে হোলি খেলার আনন্দে মেতে উঠবেন সকলে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

চলতি বছর ২৯ মার্চ হোলি। তবে এখন থেকেই হোলির রঙে রঙিন হতে শুরু করেছে ব্রজ। আবার বরসানার লঠমার হোলি সারা বিশ্বে প্রসিদ্ধ। ব্রজভূমিতে মহা আনন্দে হোলি পালিত হয়। হোলির এক সপ্তাহ আগে থেকেই ব্রজয়ে বিশেষ ধরনের হোলি খেলা শুরু হয়ে যায়। এ বছর কোন দিন কোন হোলি খেলা হবে জানুন।

১. লাড্ডু হোলি- ২২ তারিখ বরসানায় হয়ে গিয়েছে লাড্ডু হোলি খেলা। এদিন রাধারানির গ্রাম বরসানায় ফাগ (ফাল্গুন) আমন্ত্রণের উৎসব। তারপর লাড্ডু দিয়ে হোলি খেলার আনন্দে মেতে উঠেছিলেন সকলে।

২. রঙ্গোলি গলিতে লঠমার হোলি- ২৩ মার্চ লঠমার হোলি খেলা বরসানায়। নন্দগ্রাম থেকে বরসানায় হোলি খেলতে আসেন পুরুষরা।

৩. নন্দগ্রামে লঠমার হোলি- বরসানায় লঠমার হোলি খেলার পরের দিন নন্দগ্রামে লঠমার হোলি খেলা। চলতি বছর ২৪ মার্চ নন্দগ্রামে এই হোলি অনুষ্ঠিত হবে।

৪. ফুল ও রঙ্গভরনি হোলি- মথুরার শ্রী দ্বারকাধীশ মন্দিরে ফুলের হোলি খেলা হয়। আবার বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরে রঙ্গভরনি হোলি খেলা হবে। ২৫ মার্চ এই দুই ধরনের হোলির উৎসবে মেতে উঠবেন সকলে।

৫. ছড়িমার হোলি- ২৬ মার্চ গোকুলে ছড়িমার হোলি আয়োজিত হবে।

৬. আবীরের হোলি- ২৭ মার্চ বৃন্দাবনে আবীরের হোলি খেলা হবে। এখানে বৃন্দাবনের বিধবারা রঙের হোলি খেলবেন।

আরও পড়ুন: এখনও কি অনগ্রসরতা কাটানো যায়নি? কত প্রজন্ম ধরে চলবে সংরক্ষণ? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

পৃথিবী বিখ্যাত বরসানার লঠমার হোলি:

ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে বরসানায় লঠমার হোলি আয়োজিত হয়। এদিন রঙ ও ফুলের পাশাপাশি লাঠি দিয়েও হোলি খেলে চিরাচরিত প্রথা পালন করা হয়। বরসানার এই হোলি দেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বে বিখ্যাত। এই হোলি খেলার জন্য নন্দগ্রামের লোকেরা বরসানা যান।

বরসানায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাধা। ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে নন্দগ্রামের লোক হোলি খেলার জন্য বরসানা আসেন। সেখানে মেয়ে ও মহিলাদের সঙ্গে লঠমার হোলি খেলার প্রথা রয়েছে। এরপর ফাল্গুন শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে রঙের হোলি খেলা হয়।

উল্লেখ্য, লঠমার হোলি খেলার প্রথা কৃষ্ণের সময় থেকে প্রচলিত। মনে করা হয়, কৃষ্ণ নিজের বন্ধুদের সঙ্গে নন্দগ্রাম থেকে বরসানা আসতেন। বরসানায় রাধা ও তাঁর সখীদের সঙ্গে হোলি খেলায় মেতে উঠতেন কৃষ্ণ। এ সময় রাধা ও তাঁর সখীদের সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশা করতেন কৃষ্ণ ও তাঁর বন্ধুবান্ধবরা। এরপরই সেখানে উপস্থিত গোপারা তাঁদের লাঠি দিয়ে মারা শুরু করতেন। এটিই লঠমার হোলি নামে প্রসিদ্ধ। এই লাঠির আঘাত থেকে বাঁচতে ঢালের সাহায্য নিতেন কৃষ্ণ ও তাঁর সখারা। এখনও লাঠি ও ঢালের সাহায্যে এই হোলি খেলা হয়। এরপর সকলে রং দিয়ে হোলি খেলেন।

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর পথদুর্ঘটনা মধ্য প্রদেশে! বাস-অটোর মুখোমুখি ধাক্কায় ১০ মহিলা-সহ নিহত ১৩

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest