নয়াদিল্লি: সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পরবর্তী দফার লকডাউনের রূপরেখার একটি প্রাথমিক খসড়া তৈরি করে ফেলেছে সরকার।১৭ মে-র পর লকডাউন যে বাড়ছে তা আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে চতুর্থ দফার লকডাউন কতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে বা এর নিয়ম কী কী থাকবে তা তখন স্পষ্ট করেননি তিনি। চতুর্থ দফার লকডাউন ৩১ মে পর্যন্ত চলবে বলে সূত্রের খবর।
২০ লক্ষ টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) জানিয়ে দিয়েছিলেন দেশে চতুর্থ দফার লকডাউন (Lock Down 4.0) জারি হতে চলেছে। তবে, সেই লকডাউন হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন রুপের। আগের তিন দফার লকডাউনের থেকে আলাদা।
চতুর্থ দফার লকডাউনে কড়াকড়ি অনেকটাই শিথিল করা হবে বলে সূত্রের খবর। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে বাস-মেট্রো-অটোর মতো গণপরিবহণ ব্যবস্থা চালু করা হতে পারে। নিয়মনীতি মেনে চালু করা হতে পারে রেস্তোঁরা এবং শপিং মলও।
আরও পড়ুন: ফের পথ দুর্ঘটনা, দুই লরির সংঘর্ষে উত্তরপ্রদেশে মৃত ২৩ পরিযায়ী শ্রমিক
ট্যাক্সির মতো অটোও চলতে পারে দু-জন যাত্রী নিয়ে। ঘরোয়া উড়ান যে রাজ্য থেকে যে রাজ্যে যাবে, এই দুই রাজ্যের সম্মতি পেলে উড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। বিশেষ কিছু ট্রেন চালাবে রেল। আন্তঃরাজ্য পরিবহণেরও অনুমতি মিলতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে ই-পাস থাকা বাধ্যতামূলক। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনই বড় কোনও জমায়েত বা ধর্মীয় সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে কারখানার কাজ, নির্মাণ কাজ এবং রাস্তা তৈরির কাজে অনুমতি দেওয়া হতে পারে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়াও সব জিনিসের হোম ডেলিভারির অনুমতি দিতে পারে সরকার। তবে, রেড জোন বা কন্টেনমেন্ট জোন পুরোপুরি বন্ধ। রেড জোনে বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী নিজেদের রাজ্যে, রেড জোন বা অরেঞ্জ জোন নিজেরা ঠিক করার অধিকার চেয়েছে। সেই অধিকার দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি হটস্পট এলাকায় কী কী খোলা থাকবে, সেটা ঠিক করার অধিকারও রাজ্যকে দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ, লকডাউনে সার্বিকভাবে আগের তুলনায় বেশি ক্ষমতা দেওয়া হবে রাজ্যগুলিকে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় ‘বন্ধু’ মোদির পাশে ট্রাম্প, ভারতকে ভেন্টিলেটর দেবে আমেরিকা