মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী মহারাষ্ট্রের ভান্ডারি জেলা। সরকারি হাসপাতালে বিধ্বংসী আগুন প্রাণ কাড়ল ১০ সদ্যোজাত শিশুর।সাত শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
বিদর্ভ এলাকার ভান্ডারার সিভিল সার্জন প্রমোদ খানদাতে জানিয়েছেন, গতরাতে ভান্ডারা জেলা হাসপাতালের শিশু বিভাগে (সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট) আগুন লেগে যায়। সেখানে ১৭ জন শিশুর চিকিৎসা চলছিল। রাত দেড়টা নাগাদ একজন নার্স সর্বপ্রথম সেই বিভাগ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। তিনি দ্রুত হাসপাতালের কর্মী এবং চিকিৎসকদের খবর দেন। প্রাথমিকভাবে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন হাসপাতালের কর্মীরা। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোতে থাকে। তারইমধ্যে দ্রুত খবর পাঠানো হয় দমকলেও। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। সাত শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু বাকিদের উদ্ধার করা যায়নি। মৃত্যু হয়েছে ১০ শিশুর।
আরও পড়ুন: গো-হত্যার কারণে ভূমিকম্প! ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের অনলাইন পরীক্ষা
ইতিমধ্যে মৃত শিশুদের অভিভাবকদের অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানানো হয়েছে। যে সাত শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের অন্য একটি ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সুরক্ষাজনিত কারণে আইসিইউ ওয়ার্ড, ডায়ালিসিস উইং এবং লেবার ওয়ার্ডের রোগীদেরও অন্যত্র সরানো হয়েছে।
খানদাতে জানিয়েছেন, যে ওয়ার্ডে সদ্যোজাতদের রাখা হয়, সেখানে টানা অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে’ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল। আগুন নেভানোর সময় হাসপাতালের কর্মীরা সেগুলি ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু চারদিক ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল। গলগল করে বেরোচ্ছিল ধোঁয়া।’
তবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে শর্ট-সার্কিটের জেরে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে দমকল সূত্রে খবর। ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, তোপ, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেছেন উদ্ধব ঠাকরে। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের ভান্ডারার হাসপাতালের মর্মান্তিক ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে মৃত শিশুদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও।
আরও পড়ুন: বদায়ুন ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে গ্রেফতার প্রধান অভিযুক্ত মন্দিরের পুরোহিত সত্যনারায়ণ