বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারবে না সিবিআই! বাংলার পথেই হাঁটল মহারাষ্ট্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত আরও বাড়াল মহারাষ্ট্র সরকার (Maharashtra Government)। তদন্তের সঙ্গে সিবিআইকে (CBI) দেওয়া সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করে নিল তারা। ফলে এর পর থেকে প্রত্যেক মামলায় তদন্তের জন্য সিবিআইকে আলাদা ভাবে অনুমতি নিতে হবে রাজ্য সরকারের থেকে।

সংবাদমাধ্যমে টিআরপি জালিয়াতির মামলাকে কেন্দ্র করে এই সংঘাতের শুরু। রিপাবলিক টিভি-সহ বিভিন্ন চ্যানেলের বিরুদ্ধে এই মামলায় তদন্ত করছিল মুম্বই পুলিশ। কিন্তু কায়দা করে কেন্দ্র সেটা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। এর পরেই পদক্ষেপ করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভুয়ো টিআরপির এই মামলায় মুম্বই পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছিল। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশ পুলিশের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সিবিআই এফআইআর দায়ের করে। উত্তরপ্রদেশের হজরতগঞ্জ পুলিশ স্টেশনে এক বিজ্ঞাপনী সংস্থা একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল। তার তদন্তভার উত্তরপ্রদেশ সরকার তুলে দেয় সিবিআইকে।

আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের শপিং মলে বিধ্বংসী আগুন, আহত ২ দমকলকর্মী, সরানো হল ৩৫০০ জনকে

এর ফলে গোটা ঘটনার তদন্ত মুম্বই পুলিশের হাত থেকে সিবিআইয়ের হাতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে সুশান্ত রাজপুত মামলাতেও বিহার পুলিশের সুপারিশে মামলার তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের কাছে। এই সবের ফলেই সিবিআইয়ের রাস্তা বন্ধ করল উদ্ধব সরকার, বলে মনে করা হচ্ছে। এ বার থেকে রাজ্যের অনুমতি ছাড়া এই কেন্দ্রীয় সংস্থা মহারাষ্ট্রে তদন্ত করতে পারবে না। এর আগে বিরোধী শাসিত পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগঢ়, অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান এই সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করেছে।

মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিবিআইয়ের অপব্যবহার রুখতেই এই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। দেশমুখ বলেন, ‘‘আমাদের মনে হয়েছে, সিবিআইয়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক হিসেব-নিকেশ মেটানো হচ্ছে। তাদের ব্যবহার করে টিআরপি-কাণ্ডের তদন্তে নাক গলানোর বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তাই ওই অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতি কয়েক বছর আগে সিবিবিআকে ‘খাঁচার তোতা’ বলেছিলেন। আমরা তা হতে দিতে চাই না।’’ শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘জাতীয় ক্ষেত্রে তদন্তের এক্তিয়ার সিবিআইয়ের রয়েছে। কিন্তু সংবিধানে মহারাষ্ট্র এবং মহারাষ্ট্র পুলিশের নিজস্ব অধিকার রয়েছে। কেউ তা খর্ব করতে চাইলে সরকারকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।’’

আরও পড়ুন: ফ্রি ভ্যাকসিন পেতে ভোট কবে খোঁজ নিন,’ খোঁচা রাহুলের, তড়িঘড়ি সাফাই বিজেপির

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest