ফের শিরোনামে যোগীরাজ্য! মেয়ের যৌন হেনস্তার প্রতিবাদ করায় বাবাকে গুলি করে খুন জামিন পাওয়া অভিযুক্তের

এর আগেও হাথরসে (Hathras) চার উচ্চবর্ণের যুবকের গণধর্ষণের শিকার হন সেখানকারই এক দলিত মহিলা। ঘটনার ১৫ দিন পর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পশ্চিমবঙ্গকে ‘সোনার বাংলা’ হিসাবে গড়তে রাজ্যে ভোট প্রচারে আসছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অথচ তার রাজ্যে লাগাতার ঘটে যাচ্ছে নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা। কিন্তু সেসব গুরুত্ব দিতে নারাজ যোগীর নজর এখন শুধু ভোটমুখী রাজ্যগুলির দিকে।

এক তরুণীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। জামিন পেয়েই নির্যাতিতা তরুণীর বাবাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের হাথরসে।দিল্লি থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে এই ঘটনা ঘটেছে।

২০১৮ সালে গৌরব শর্মা নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলেন এক তরুণী। তাঁর বাবা গৌরবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে হাথরস পুলিশ। যদিও মাসখানেকের মধ্যেই গৌরব জামিন পেয়ে যান স্থানীয় আদালতে। কিন্তু দুই পরিবারের মধ্যে এই ঝামেলা জিইয়ে ছিল। এরইমধ্যে সোমবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ এলাকার একটি মন্দিরের সামনে দুই পরিবারের মধ্যে বচসা শুরু হয়। হাথরস পুলিশ সূত্রে খবর, এরপরই ওই তরুণীর বাবাকে তাক করে গুলি চালান গৌরব। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষ রক্ষা করা যায়নি।

হাথরস পুলিশের কর্তা বিনীত জয়সওয়াল টুইটারে একটি ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, “যে ব্যক্তি মারা গিয়েছেন ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তিনি গৌরব শর্মার বিরুদ্ধে একটি যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। এক মাসের জন্য জেলেও থাকতে হয় গৌরবকে। এরপর থেকে দুই পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য ছিলই। সোমবার গৌরবের মা ও কাকিমা গ্রামেরই একটি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই ছিলেন ওই তরুণী ও তাঁর বাবা। ওই মহিলা তর্ক শুরু করেন বাবা-মেয়ের সঙ্গে। এরপরই সেখানে ঢুকে পড়েন গৌরব শর্মা। গৌরব কয়েকজন ছেলেকে ডেকে আনেন। গুলি করা হয় তরুণীর বাবাকে।”

আরও পড়ুন: অসমে ধাক্কা বিজেপির, এনডিএ ছেড়ে কংগ্রেসের মহাজোটে শামিল বিপিএফ

এই ঘটনায় গৌরবের পরিবারের এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গৌরব এবং বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশের ওই শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন। অন্যদিকে অভিযোগকারী তরুণীরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মেয়েটি চিৎকার করে বলছেন “দয়া করে আমাকে বিচার দিন। আমার সঙ্গে ন্যয় করুন। প্রথমে আমাকে যৌন হেনস্তা করা হল। এখন আমার বাবাকে গুলি করে খুন করা হল। ছ’-সাতজন সেখানে ছিল।”

যোগী রাজ্য উত্তর প্রদেশে এমন নৃশংসতার উদাহরণ এই প্রথম নয়। এর আগেও হাথরসে চার উচ্চবর্ণের যুবকের গণধর্ষণের শিকার হন সেখানকারই এক দলিত মহিলা। ঘটনার ১৫ দিন পর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। তবু প্রতিবাদীর টুঁটি টিপে ধরার প্রবণতা যে থেকেই গিয়েছে এদিনের ঘটনা তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

আরও পড়ুন: নাবালিকা ধর্ষিতাকে বিয়ে করুন, সরকারি চাকরি থেকে যাবে, – ‘প্রস্তাব’ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest