অবশেষে মুক্তি পেলেন ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের হতে বন্দি কোবরা কমান্ডো রাকেশ্বর সিং মিনহাস। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ প্রায় ১৫০ জন গ্রামবাসীর সামনে তাঁকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিছুক্ষণ পর তিনি তেরেম ক্যাম্পে পৌঁছে যান।
সিআরপিএফ এলিট বাহিনীর জওয়ানের মুক্তির খবরে রীতিমতো স্বস্তি পেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। আনন্দে কেঁদে ফেলেন তাঁর স্ত্রী মিনু। বলেন, ‘আজ আমার জীবনে সবথেকে আনন্দের দিন। আমি সবসময় ওর ফেরার বিষয়ে আশাবাদী ছিলাম।’
গত সোমবার স্থানীয় এক সাংবাদিকের কাছ থেকে জানা যায়, রাকেশ্বর নাকি মাওবাদীদের হেফাজতে রয়েছেন। মাওবাদী শীর্ষ নেত্রী মাধবী হিদমা নাকি নিজে ফোন করেছিলেন ওই সাংবাদিককে। তাঁর ছবি প্রকাশ করে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালানোর প্রস্তাব দেয় মাওবাদীরা। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বন্দি জওয়ানের মেয়ের একটি ভিডিও।
আরও পড়ুন: মুসলিমদের কাছে টানতে মরিয়া RSS, মোহন ভাগবতের ভাষণ ছাপা হচ্ছে উর্দুতে
সেই ভিডিওয় কান্না ভেজা গলায় বছর পাঁচেকের ছোট্ট মেয়েটির আবেদন শোনা গিয়েছে, “আমার বাবা যেন তাড়াতাড়ি ফিরে আসে।” টিভি থেকে রাকেশ্বরের নিখোঁজ হওয়ার খবর পান বলে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী মীনা। রাকেশ্বরের নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই কার্যত ভেঙে পড়েছে তার পরিবার। এমনকী জম্মু কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংকেও মীনা আবেদন করেছেন, দ্রুত তাঁর স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে।
উল্লেখ্য, শনিবার ছত্তিশগড়ে বিজাপুর এবং সুকমার মাঝে জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২২ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, ২৫-৩০ জন মাওবাদীও সংঘর্ষে মারা গিয়েছে। তবে সংঘর্ষের পর থেকে রাকেশ্বর নামে ওই জওয়ানের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রসঙ্গত, গত চার বছরে ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তার ও সুকমা অঞ্চলে ক্রমাগত ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়িয়েছে কোবরা বাহিনী। ঘন জঙ্গলের ভিতরে প্রায় ৬০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ধীরে ধীরে নিজেদের দখলে নিয়েছে। মূলত বাহিনীর এই আগ্রাসনেই ওই এলাকা থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিল মাওবাদীরা।
আরও পড়ুন: এক বছরে সম্পদ দ্বিগুণ! ভারতের ধনীতম মুকেশ আম্বানি, দ্বিতীয় আদানি, তালিকায় রয়েছেন আর কে কে?