কলেজের কাছ থেকে উদ্ধার মেডিক্যাল ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ, ধৃত ডাক্তার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আবার মর্মান্তিক ঘটনা যোগী রাজ্যে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই একের পর এক নাবালিকা ধর্ষণ, খুনের ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। কখনও তেরো বছরের মেয়ের চোখ উপরানো, জিভ কাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে ঝোপের ধার থেকে, আবার কখনও ধর্ষণের পরে নাবালিকার সারা শরীর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সিগারেটের ছ্যাঁকায়। এবার আগ্রায় এক মেডিক্যাল ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সারা শরীরে ক্ষতের দাগ। মাথায় ও গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ।

আগ্রার মেডিক্যাল কলেজ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রাস্তার ধারে ওই ছাত্রীর দেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল বুধবার সকালে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর পরিবার নিখোঁজ ডায়রি করেছিল। মঙ্গলবার থেকেই খোঁজ মিলছিল না ছাত্রীর। কলেজে যাওয়ার পরে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরদিন সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

আগ্রার পুলিশ অফিসার বাবলু কুমার জানিয়েছেন, ছাত্রীর পরিবার অপহরণ ও খুনের মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগ এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। মৃতার পরিবারের দাবি, ওই ডাক্তার মেয়েটিকে নানাভাবে হেনস্থা করত। গত কয়েকদিন ধরেই হুমকিও দিচ্ছিল। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, লখনৌ থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে জালোন শহরে ওই ডাক্তারের ক্লিনিক রয়েছে। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ডাক্তারের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলাও দায়ের হয়েছে। ঘটনাস্থল ও তার আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীর থেকে ১০ হাজার আধাসেনা সরিয়ে নিল কেন্দ্র

হাপুর, লখিমপুরের, গোরক্ষপুর সহ উত্তরপ্রদেশের একাধিক এলাকায় নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। কিছুদিন আগেই, গোরক্ষপুরের একটা ইটভাটার কাছ থেকে এক নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধর্ষণের পরে মেয়েটির সারা শরীর সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল অভিযুক্তরা। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এর আগে লখিমপুর জেলায় ১৩ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে খবর মেলে। পুলিশ জানায়, মেয়েটির উপরে নারকীয় নির্যাতন চালায় অপরাধীরা। কিশোরীর চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছিল, জিভ কেটে নেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনাতেও ধরা পড়েছে দু’জন।

হাপুর জেলায় বছর ছয়েকের একটি মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তিনজন। ওই শিশুটির অবস্থাও সঙ্কটজনক। মেরঠের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন। হাপুরের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ঘটনা যাই হোক, PM Cares নিয়ে সুুপ্রিম কোর্টে জয় মোদী সরকারের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest