চাওয়ালার মেয়ে, ছিল না স্কুল ফি দেওয়ার ক্ষমতা, আজ তিনি বায়ুসেনার ফাইটার পাইলট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest: স্বপ্ন দেখা ভাল। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস থাকলে সেই স্বপ্ন একদিন ঠিক পূরণ হবেই। এমনই আত্মবিশ্বাস ছিল তরুণী আঁচল গাঙ্গোয়ালের মনে। অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে পাথেয় করে তাই শেষ পর্যন্ত নিজের স্বপ্নপূরণ করতে পেরেছে আঁচল। ২৪ বছর বয়সী তরুণী সব বাধা পেরিয়ে চাওয়ালার মেয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার ফ্লাইং অফিসার কমিশনড হল। 

বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভেসে গিয়ে গিয়েছে কেদারনাথ। উদ্ধারকারী হিসেবে দুর্গতদের পাশে বীরবিক্রমে কাজ করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ২০১৩ সালে টিভির পর্দায় এই ছবি দেখে স্বপ্ন দেখেছিলেন কিশোরী আঁচল গঙ্গওয়াল। তিনিও একদিন কাজ করবেন বায়ুসেনার পাইলট হয়ে। তাঁর স্বপ্নকে আকাশকুসুমই মনে হয়েছিল আঁচলের অতি আপনজনেরও। যাঁর বাবা চায়ের দোকান চালান, তাঁর মেয়ে কি না বায়ুসেনার পাইলট হবেন! উড়ে এসেছিল এরকম তির্যক হাসি-মন্তব্যও।লেখাপড়ায় মেধাবী আঁচল ছিলেন দক্ষ বাস্কেটবল খেলোয়াড়ও। তাঁর বায়ুসেনার ফাইটার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন সত্যি করার জন্য প্রথমে সায় ছিল না বাড়ির লোকেরও। কিন্তু আঁচল তাঁর পরিকল্পনায় অনড়। যদি কিছু হতে হয় জীবনে, তবে বায়ুসেনার পাইলট-ই হবেন।

আরও পড়ুন: ফের অসুস্থ সাধ্বী প্রজ্ঞা,শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সংজ্ঞা হারালেন আচমকা

মেয়ের স্কুলের বেতন দিতে গিয়েই নাজেহাল অবস্থা তাঁর বাবা সুরেশ গঙ্গোয়ালের। দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পরে সংসারের চাপে ছেড়ে দিতে হয়েছিল পড়াশোনা। তারপর সেই যে চায়ের দোকানের কেটলি ধরেছিলেন, সিকি দশক পরে আজও তা ছাড়তে পারেননি।ভোপালের ৪০০ কিমি দূরে নীমচ শহরে এতদিন সুরেশের পরিচয় ছিল ‘চাওয়ালা’। এখন তাঁকে সবাই একডাকে চেনে ‘এয়ারফোর্সের ফাইটার পাইলটের গর্বিত বাবা’ হিসেবে।

image

কিন্তু এই উত্তরণের প্রতিটি ধাপ ছিল বন্ধুর। মেয়ের পড়াশোনার খরচের জন্য সব লজ্জা ভুলে মাঝে মাঝে হাতও পাততে হয়েছে আত্মীয় পরিজনদের কাছে। তাতেও সমস্যা দূর হয়নি। স্কুল-কলেজের বেতন নির্ধারিত সময়ের পরে জমা দেওয়ার জন্য সুরেশ বা তাঁর স্ত্রীকে কখনও কখনও মিথ্যে অজুহাতের আশ্রয়ও নিতে হয়েছে। মেয়ের সাফল্য এখন তাঁদের গ্লানিমুক্ত করেছে। কিন্তু তার পরেও স্বপ্ন যেন ক্রমেই ঝাপসা হয়ে পড়ছিল। কিছুতেই ফাইটার পাইলট হওয়ার প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারছিলেন না আঁচল।কিন্তু বায়ুসেনার উর্দি তাঁকে পরতেই হবে। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন আঁচল। সঙ্গে তাঁর পরিবারও। প্রতি বার অসফল হতেন, আরও বাড়িয়ে দিতেন পড়াশোনার গভীরতা। দীর্ঘ সময় কাটাতেন লাইব্রেরিতে।

অবশেষে ষষ্ঠ প্রচেষ্টায় সাফল্য। ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার পাইলট হওয়ার পরীক্ষায় প্রতি ধাপে উত্তীর্ণ হলেন আঁচল। তারপর প্রশিক্ষণ পর্ব। সেই পর্বেও সসম্মানে সফল তরুণী আঁচল। ফ্লাইং অফিসার হিসেবে সম্প্রতি ভারতী বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছেন ২৪ বছর বয়সি আঁচল।

আরও পড়ুন: ধাক্কা খেলেন বাবা রামদেব! সদ্য লঞ্চ হওয়া করোনা ওষুধে নিষেধাজ্ঞা জারি কেন্দ্রের

Gmail 4

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest