Site icon The News Nest

পদ খোয়াতে হলেও কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন করব, বিস্ফোরক মেঘালয়ের রাজ্যপাল

Satyapal Malik

একদা বিজেপি নেতা সত্যপাল মালিক গত বেশ কয়েক বছর নানা রকম মন্তব্য করে নিজের দলকেই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন। তবে এ বার যা ঘটল, সেটা অনেকেই কার্যত আন্দাজ করতেই পারেনি। বিজেপির প্রথম সারির নেতা কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছেন এটা খুব একটা দেখা যায় না ইদানীং।

তিন বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুললেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। সেই সঙ্গে তাঁর সাফ কথা, এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে যদি রাজ্যপালের পদ থেকে সরিয়েও দেওয়া হয় তবুও তিনি নিজের মুখ বন্ধ করবেন না। কৃষি আইনের জন্য উত্তর ভারতে ভয়াবহ ভাবে জমি হারাতে পারে বিজেপি, এমনও জানিয়েছেন সত্যপাল।

দিন কয়েক আগেই কৃষকদের সমর্থনে কথা বলে কেন্দ্রকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন মালিক। তাঁর দাবি ছিল, কেন্দ্রের উচিত কৃষকদের (Farmers Protest) দাবি মেনে নেওয়া। নাহলে গেরুয়া শিবিরই রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বুধবার শাসক শিবিরের অস্বস্তি আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন: শতাব্দী এক্সপ্রেসে বিধ্বংসী আগুন! দাউ দাউ করে জ্বলছে ট্রেন

তাঁর সাফ কথা, “আমি কৃষকদের এই কষ্ট আর সহ্য করতে পারছি না। এমনকী বিজেপি নেতারা বাড়ি থেকে বেরতে পারছেন না। বিধায়কদের মারধর করা হচ্ছে। আমার মনে হয় কৃষকদের খালি হাতে বাড়ি পাঠানো উচিত নয়। সরকারের দ্রুত তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত।”

মেঘালয়ের রাজ্যপাল বলছেন,”একটা কুকুর মারা গেলেও মানুষ শোকপ্রকাশ করেন। অথচ, ২৫০ জনের বেশি কৃষকের মৃত্যুতেও কেউ একটা শব্দও খরচ করল না। এভাবে আন্দোলন চলতে থাকলে হরিয়ানা, রাজস্থান এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বড় ক্ষতি হবে।”

সত্যপাল মালিক বলছেন, এই মন্তব্যের পর যদি তাঁকে পদও ছেড়ে দিতে হয়, তাতেও ক্ষতি নেই। তাঁর কথায়, “অনেকে বলতে পারেন আমি এই মন্তব্য করে বিজেপির ক্ষতি করছি। কারও যদি এরকম মনে হয়, তাহলে আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দিতেই পারে। কিন্তু আমি দলের ক্ষতি করছি না। যারা এই সমস্যার সমাধান চাইছে না, আসলে তাঁরাই দলের ক্ষতি করছে।”

আরও পড়ুন: প্রশাসনের অস্বস্তি! বন্ধ করে দেওয়া হল দেশের প্রথম সেক্স টয়ের দোকান

Exit mobile version