টানা ৪৩৬ দিন বন্দিদশার অবসান, অবশেষে মুক্ত জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

২০১৯ সালে ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের আগেই আটক করা হয় জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে। তার পর থেকে টানা ৪৩৬ দিন কেটেছে বন্দিদশায়। মঙ্গলবার তাঁকে মুক্তি দিল জম্মু  ও কাশ্মীর প্রশাসন। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পর রাজ্যের অধিকাংশ নেতাই বন্দি হন। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ফারুক আবদুল্লা ও ওমর আবদুল্লা।

এ দিন রাত পৌনে ১০টা নাগাদ তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। মেহবুবার মুক্তির বিষয়টি টুইট করে জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর সরকারের মুখপাত্র রোহিত কানসাল।পিডিপি নেত্রীর মুক্তির খুশির জোয়ার দলের সমর্থকদের মধ্যে। মেহবুবার মুক্তির কিছু ক্ষণের মধ্যেই ইলতিজা টুইট করেন, ‘মেহবুবাকে অনৈতিক ভাবে আটক করা হয়েছিল। আজ অবশেষে মুক্তি পেলেন। এই সঙ্কটময় মুহূর্তে যাঁরা আমার পাশে থেকেছেন, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে সাহস জুগিয়েছেন, তাঁদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশে ঘুমন্ত ৩ দলিত বোনের উপর অ্যাসিড হামলা, প্রশ্নে যোগীর প্রশাসন

৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর মেহবুবাকে প্রথমে দু’টি সরকারি বাসস্থানে আট মাস গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তার পর এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে ফের আটক করা হয় জন নিরাপত্তা আইনে। পর তাঁর বাসভবন ‘ফেয়ার ভিউ’য়ে স্থানান্তরিত করা হয় মেহবুবাকে। সেই বাসভবনকে অস্থায়ী জেলে পরিণত করা হয় এবং সেখানেই গৃহবন্দি করে রাখা হয় পিডিপি নেত্রীকে।

মেহবুবার মুক্তিতে টুইট করেছেন ওমর আবদুল্লা। তিনি লেখেন, ‘এক বছরেরও বেশি সময় আটক থাকার পর মেহবুবাকে যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাতে আমি খুশি। অন্যায় ভাবে তাঁকে আটক করে রাখা হয়েছিল। যা গণতন্ত্র বিরোধী।’

প্রসঙ্গত গত শুনানিতে কেন্দ্র ও কাশ্মীর প্রশাসনকে কার্যত ভর্ৎসনা করেছিল শীর্ষ আদালত।বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ কেন্দ্র ও কাশ্মীর প্রশাসনের কাছে জানতে চায়, “একজনকে কতদিন ধরে আটক করে রাখা  যেতে পারে? মেহবুবা মুফতিকে কতদিন বন্দি করে রাখতে চাইছেন?” প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসেই মুফতিকে আটক করে রাখার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হয়েছে।এনিয়ে জবাবও তলব করা হয়।  সেই মামলায় চূড়ান্ত রায় দেওযা হয়নি। তার আগেই রেহাই পাচ্ছেন মেহবুবা মুফতি।

আরও পড়ুন : বাঘকে গোমাংস দেওয়া বন্ধ করুন,গুয়াহাটি চিড়িয়াখানার সামনে গেরুয়া সদস্যদের বিক্ষোভ

 

 

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest