সংক্রমণ রুখতে স্বাধীনতা দিবসে জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। তার বদলে প্রযুক্তির সাহায্যে বিশেষ এই দিনটি পালন করার পরামর্শ দিল। এই বিষয়ে সমস্ত সরকারি অফিস, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের গর্ভনরদের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
Ministry of Home Affairs (MHA) issues advisory for Independence Day celebrations. Ask all govt offices, states, Governors etc to avoid congregation of public and use technology for the celebrations. #COVID19 pic.twitter.com/aQlxy9GXNA
— ANI (@ANI) July 24, 2020
আরও পড়ুন: বরাদ্দ হল স্থায়ী কমিশন, এবার ভারতীয় সেনার উচ্চপদে বসতে পারবেন মহিলা অফিসারেরাও
একইসঙ্গে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মীদের মতো করোনা যোদ্ধাদের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর পরামর্শ দিল কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে পাঠানো সব রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকদের চিঠিতে জানানো হয়েছে, করোনা আবহ বিবেচনা করে উপযুক্তভাবে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। সেজন্য যাবতীয় সুরক্ষাবিধি, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। রাজ্য, জেলা থেকে শুরু ব্লক, মহকুমা, পঞ্চায়েত – সব স্তরেই সেই বিধি অনুসরণ করতে হবে।
লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে গত বছর প্রায় ১০,০০০ জন উপস্থিত ছিলেন। এবার তা মেরেকেট ১,০০০ হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে প্রথামতো লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে। জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। দেওয়া হবে ২১ টি গান স্যালুট। তারপর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন মোদী। সেই ভাষণ শেষ হলেই জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হবে। সবশেষে আকাশ ওড়ানো হবে তেরঙা বেলুন। একইভাবে রাজ্যস্তরে মুখ্যমন্ত্রী, জেলাস্তরে মন্ত্রী বা কমিশনার বা জেলাশাসক, মহকুমা বা ব্লক স্তরে মন্ত্রী বা মহকুমা শাসক এবং পঞ্চায়েত স্তরে পঞ্চায়েত প্রধানকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে বলা হয়েছে। সকাল ন’টার পর সেই অনুষ্ঠান শুরু করতে হবে। কিন্তু বেশি জমায়েত করা যাবে না।
ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লক্ষ ৮৭ হাজার ৯৪৫ জন। মৃত ৩০ হাজার ৬০১ জন। বাংলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৭৫৭ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৬৫ জনের।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রে বিরুদ্ধ স্বরকে দমানো যায় না, শীর্ষকোর্টে প্রাথমিক জয় পেল পাইলট শিবির