আত্মনির্ভর ভারত ! আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয় চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজ,সংসদে পাশ বিল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কার্যত বিরোধীশূন্য রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের সংশোধনী বিল (Essential commodities Amendment law)। গত ১৫ সেপ্টেম্বর লোকসভায় বিলটি পেশ করা হয়েছিল। লোকসভার বাধা সহজেই উতরে যাওয়ার পর আজ বিলটি পেশ করা হয় সংসদের উচ্চকক্ষে। সেখানেও বিলটি পাশ হল বিনা বাধায়।

আটজন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী শিবির। এবার রাষ্ট্রপতি সই করলেই সাড়ে ছ’দশক পুরনো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনটি সংশোধিত হবে।

চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেলবীজ, ভোজ্য তেলের মতো কৃষিপণ্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আওতা থেকে বাদ পড়ল । রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর বিল আইনে পরিণত হলে, এই সব কৃষিপণ্যের উপর আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না সরকার। উঠে যাবে পণ্য মজুতের ঊর্ধ্বসীমাও। সরকার পক্ষের দাবি, নয়া আইনের জেরে দেশি-বিদেশি বড় সংস্থার বিনিয়োগ আসবে কৃষি ক্ষেত্রে।

আরও পড়ুন : সংসদ প্রাঙ্গণেই সারারাত ধরনা বরখাস্ত ৮ MP-র, ভোরে ফেরালেন ডেপুটি চেয়ারম্যানের চা

সাড়ে ছ’দশকের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে‌ সংশোধনী পাশ করিয়ে নিল সরকার পক্ষ। গত ১৫ সেপ্টেম্বর লোকসভায় পাশ হওয়ার পর আজ, মঙ্গলবার রাজ্যসভাতেও ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় এই বিল। ১৯৫৫ সালে চালু হয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন। সেই আইন সংশোধনের সূত্রপাত হয়েছিল করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ প্রকল্পের ঘোষণার সময়। গত ৫ জুন এই সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করেছিল কেন্দ্র। সেই সংশোধনী রাজ্যসভায় পাশের পর রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষায়। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই আইনে পরিণত হবে, অর্থাৎ সংশোধিত হবে ১৯৫৫ সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন।

বিল নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিতর্কের জবাবে কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা, খাদ্য ও গণবণ্টন দফতরের প্রতিমন্ত্রী দানভে রাওসাহেব দাদারাও বলেন, ‘‘আইন সংশোধনী কার্যকর হলে চাষিরা ফসল উৎপাদন, মজুত, পরিবহণ, বণ্টন ও বিক্রির স্বাধীনতা পাবেন। পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে।’’ সংশোধনীতে মজুতের ঊর্ধ্বসীমা তুলে নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর দাবি, এর ফলে ফসল উৎপাদনের পর যত সম্ভব মজুত করা যাবে। চাষিদের ফসল নষ্ট বা কম দামে বিক্রির সম্ভাবনা কমবে। তিনি বলেন, ‘‘এই সংশোধনীতে কৃষক ও উপভোক্তা, দু’পক্ষেরই সুবিধা হবে।’’

সরকার পক্ষের যুক্তি, ১৯৫৫ সালে আইন প্রণয়নের সময় খাদ্য সঙ্কট ছিল দেশে। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হত। কিন্তু এখন দেশে উৎপাদন বহু গুণ বেড়েছে। আমদানির বদলে এখন খাদ্যশস্য রফতানি করে ভারত। প্রতি বছর খাদ্য উদ্বৃত্ত থেকে যায়। কোনও মরসুমে উৎপাদন বেশি হলে মার খান চাষিরা। এই সব কারণেই অত্যবশ্যক পণ্য আইনে বদল আনা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পডে়ছিল।

বিরোধী শিবির বলছে অন্য কথা। তাঁদের আশঙ্কা, এই বিলটি পাশ হয়ে যাওয়ার ফলে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলির বাজার পুরোপুরি কর্পোরেট নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। তাঁরা ইচ্ছেমতো কম দামে কৃষিপণ্য কিনবে এবং মজুত করে রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকটের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সেই পণ্যই পরে আকাশছোঁয়া দামে আম আদমির কাছে বেচবে। এর ফলে কৃষকরা তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেনই, মধ্যবিত্তের পকেটেও টান পড়বে।

আরও পড়ুন : সোনার দাম কমল অনেকটা, রূপোর দামও পড়ল ধড়াম করে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest