বিশ্বজুড়ে করোনা সংকটের মধ্যেই একের পর এক শিখর স্পর্শ করে চলেছেন মুকেশ আম্বানি। বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ ধনীতম ব্যক্তি হলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার। এই যাত্রায় পিছনে ফেলে দিয়েছেন ইউরোপের ধনীতম ব্যক্তিকে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স-এর (Bloomberg Billionaires Index) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর (Reliance Industries Ltd) চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৮০.৬ বিলিয়ন বা ৮০৬০ কোটি মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৬ লক্ষ ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
শুধুমাত্র চলতি বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। ব্লুমবার্গের বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় চার নম্বরে ছিল ফরাসি শিল্পপতি বার্নার্ড আরনল্ট। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর সংস্থা LVMH-এর আয় ধাক্কা খেয়েছে। যার ফলে সম্পদের নিরিখে ইউরোপের ধনীতম ব্যক্তিকে পিছনে ফেলে দিলেন ভারতের অনিল আম্বানি।
গত কয়েক সপ্তাহে সবাইকে চমকে দিয়ে বিশ্বের একের পর এক ধনকুবেরকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন ভারতের ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি। এই তালিকায় আছে টেসলা এবং স্পেসএক্সের প্রধান এলন মাস্ক এবং অ্যালফাবেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন ও লরি পেজের মতো সিলিকন ভ্যালির একাধিক রত্ন। এমনকী জুলাই মাসের মাঝামাঝি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সিইও ওয়ারেন বাফেটের থেকেও আম্বানির সম্পদের পরিমাণ ছাপিয়ে যায়।
লকডাউনে বিভিন্ন শিল্প সংস্থায় যখন তালা ঝোলার অবস্থা এর ঠিক উলটো ছবি রিলায়েন্সে। তাদের সম্পদ ক্রমশ ফুলে ফেঁপে উঠেছে। আর মুকেশ আম্বানির ক্রমবর্ধমান সম্পদ বৃদ্ধির নেপথ্যে মূল ভূমিকা নিয়েছে জিও প্ল্যাটফর্ম (Jio Platforms)। এই সংস্থায় প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি এসেছে। আর লগ্নিকারীদের তালিকায় আছে ফেসবুক, ইন্টেল ক্যাপিটাল, জেনারেল অ্যাটলান্টিক, আবু ধাবি ইন্টভেস্টমেন্ট গ্রুপের মতো সংস্থার নাম।
আরও পড়ুন : সুশান্ত মৃত্যু তদন্ত: রিয়াকে ফের ডাকল সুপ্রিম কোর্ট, পরের শুনানি ১১ অগস্ট