Site icon The News Nest

১৫ বছর আগের বন্যার স্মৃতি ফিরল মুম্বইয়ে, লণ্ডভণ্ড শহর

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রকৃতির রোষে বিপর্যস্ত মুম্বই। ১৫ বছর বাদে আবার সেই বন্যার স্মৃতি ফিরল বলেই মনে করছেন মুম্বইবাসী। ১০৭ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। নাগাড়ে বৃষ্টিতে ভেসে গেছে রাস্তাঘাট। জলমগ্ন রেললাইন, ব্যাহত যান চলাচল, থেমে গেছে বিমান পরিষেবা, জলে ডুবে গেছে শহরতলি।

বুধবার বিকেলে বৃষ্টির সঙ্গে দোসর হয় ঝোড়ো হওয়া। এ দিন সন্ধ্য়া নাগাদ এক সময় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০৭ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে গিয়েছিল শহরের উপর দিয়ে। আর এই দুইয়ের তাণ্ডবে বাণিজ্যনগরীর অবস্থা আরও বেহাল হয়ে পড়ে। শহরের প্রধান দু’টি লেকের জল উপচে পড়েছে। বিদ্যুৎহীন বিস্তীর্ণ এলাকা। বিভিন্ন এলাকায় জলবন্দি মানুষকে উদ্ধারে নামানো হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী’র (NDRF) দলকে। শহরে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন : ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা ফৌজ ঢুকেছিল, এই প্রথম স্বীকার করল মোদী সরকার

মুম্বই হাওয়া অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল কে এস হোসালিকার জানিয়েছেন, আজও টানা ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টির দাপট থাকবে। মুম্বই. রায়গড়, পালঘরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে রত্নগিরি, সিন্ধুগড়, পুণে, কোলহাপুর ও সাতারা জেলায়।

বৃহন্মুম্বই পুরসভার তথ্য বলছে, গত ১২ ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টি হয়েছে ২১৫.৮ মিলিমিটার। পূর্বে বৃষ্টির পরিমাণ ১০১.৯ মিলিমিটার যা পশ্চিমের থেকে বেশি। শহরের পশ্চিমাংশে গত ১২ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় ৭৬.০৩ মিলিমিটার। মালাবার হিল, পেড্ডার রোডের মতো ‘ডি’ সিভিক ওয়ার্ডে প্রায় ৩০৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

মেরিন ড্রাইভে গতকাল বিকেল থেকেই ঝোড়ো হাওয়া বইছে। আজ হাওয়ার গতি প্রতি ঘণ্টায় ১০১.৪ কিলোমিটার। বৃহন্মুম্বই পুরসভা জানিয়েছে, আপৎকালীন অবস্থার জন্য দমকল ও স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে তৈরি রাখা হয়েছে। তাছাড়া তিন কোম্পানি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলও প্রস্তুত রয়েছে।

অতিবর্ষণের জেরে মুম্বই ও তার পার্শবর্তী এলাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্ধবের থেকে বিশদে খোঁজখবর নেন তিনি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারকে সমস্ত ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

আরও পড়ুন : আমদাবাদের কোভিড হাসপাতালে আগুন, মৃত্যু অন্তত ৮ জনের

Exit mobile version