কাছে নেই পরিবার, কাশ্মীরি পণ্ডিতের সৎকারে মুসলিমরা

গ্রামের মুসলিম ব্যক্তিরাই তাঁর সৎকারের ব্যবস্থা করেন। প্রত্যেক প্রতিবেশীই এগিয়ে আসেন
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

তিন মেয়ে ও দুই ছেলে । সকলেই থাকেন জম্মুতে। তাঁদের বাবা পণ্ডিত মাখনলাল থাকতেন কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার তহাব এলাকায়। শুক্রবার বেশি রাতে যখন তিনি মারা যান, পরিবারের কেউ কাছে ছিলেন না। কিন্তু স্বজনের অভাব হয়নি। খবর পেয়ে শনিবার প্রতিবেশী মুসলিমরাই এগিয়ে আসেন তাঁর সৎকারে। বয়ে আনেন কাঠ। সাজানো হয় চিতা।

সুষ্ঠু ভাবে সারা হয় অন্ত্যেষ্টি। প্রতিবেশীরা বলছেন, এটা তাঁদের কর্তব্যই ছিল। ধর্ম যা-ই হোক না কেন, প্রতিবেশীর যত্ন নিতে শেখায় ইসলাম। তাঁরা নিজেদের সেই ধর্মই পালন করেছেন।

১৯৯০-এর অশান্ত কাশ্মীর থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়েছিলেন প্রাণ বাঁচাতে। কিন্তু মাখনলালের বিশ্বাস ছিল প্রতিবেশীদের উপরে। কখনওই উপত্যকা ছেড়ে যাননি। তাঁর মামা রমেশ মালও রয়েছেন কাশ্মীরে। পুলওয়ামার চিফ মেডিক্যাল অফিসার তিনি। প্রাক্তন বিএসএনএল কর্মী মাখনলাল ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত নিশ্চিন্তে কাটিয়েছেন উপত্যকায়।

আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশ, মৃত অন্তত ৬, মুখে কুলুপ বিজেপির

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার তাহাব গ্রামে। গত শনিবার মারা গিয়েছিলেন ৭০ বছর বয়সি হিন্দু পণ্ডিত চমনলাল। বেশ কয়েকদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। আর সেকারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলে কর্মরত ছিলেন চমনলাল।

গ্রামের মুসলিম ব্যক্তিরাই তাঁর সৎকারের ব্যবস্থা করেন। প্রত্যেক প্রতিবেশীই এগিয়ে আসেন। প্রায় ১০০ জন লোক চমনলালের সৎকারে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই বৃদ্ধের ছেলেমেয়ে গ্রামে এসে স্থানীয়দের ধন্যবাদও জানান। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই ওই মুসলিম ব্যক্তিদের কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে গ্রামেরই এক বাসিন্দা বলেন, “চমনলাল আমাদেরই একজন ছিলেন। ওঁর সৎকারের জন্য যা যা প্রয়োজন তা আমরাই জোগাড় করেছি।” আরেক বাসিন্দার কথায়, “চমনলাল কাশ্মীরি পন্ডিত হলেও তাঁকে আমরা কখনওই আলাদা চোখে দেখতাম না। তিনি আমাদেরই একজন ছিলেন। আমরা সবাই একসঙ্গেই বসবাস করি। তাই চমনলালের শেষযাত্রাতেও তাঁকে সঙ্গ দিলাম।”

আরও পড়ুন: স্মৃতিতে নিজামউদ্দিন !করোনায় মৃতদের দেহ সৎকার তবলিগ জামাতের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest